গোপন রহস্য ফাঁসঃ সালমান এফ রহমানের দাবার চালের গুটি ছিলেন পাপন-সালাউদ্দিন!

একটা মানুষ কিন্তু দু’রকম চেহারা। একটাই তিনি বাংলাদেশের দরবেশ অন্যটায় ক্ষমতা হারিয়ে প্রায় নিঃশেষ। বাংলাদেশের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিত্ব ভাবা যায় যে মানুষটা ২০১৭ তে বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় ১৬৮৫ তম অবস্থায়। সেই কিনা সদরঘাটে ধরা পড়লেন লুঙ্গি পরা অবস্থায়।

আদালতের কাঠ গড়ায় খাাঁচার ভিতর অসহায় দেখালেও সরকারের আমলে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিকে তিনি এক আঙ্গুলে নাচিয়েছেন। যার বাইরে ছিল না ক্রীড়াঙ্গনও। শেখ কামালের বন্ধু পরিচয় দেয়া আবাহনির চেয়ারম্যান ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

২০১৮ বসুন্ধরার ফুটবলারদের উপর আবাহনীর চড়াও হওয়া কিংবা এবছর প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে রেফারির পক্ষ এসব কিছু ইঙ্গিত করে।

বলা হয় সালমান এফ রহমানের ক্লাবের বিপক্ষে আঙ্গুল তুলে কথা বলার কোন আম্পায়ার বা রেফারির নেই।

এছাড়া শেয়ার বাজারে হাজারো মানুষের চোখের পানি ফেলেছেন তেমন ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রামগঞ্জ থেকে পোর খাওয়া সংগঠকদের ও বিতাড়িত করেছেন।

বিসিবির নাজমুল হাসান পাপনের অধিষ্ঠিত হওয়া ও সাবের হোসেন চৌধুরির ধুকতে না পারার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সালমানকে।

এমনকি নিজের লোক নাজমুল হাসান পাপনকে জায়গা করে দিতে জাহিদ আহসান রাসেলকে সরানোর অভিযোগ আছে সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে।

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়াম কিংবা মাদারীপুরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ অলিম্পিক ভিলেজ সহ একের পর এক মেগা প্রকল্প যখন বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনাধীন যেখানে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার বাণিজ্যের ছড়াছড়ি।

সেই মুহূর্তে সালমান এফ রহমান কেন নিজ প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো কর্তা নাজমুল হাসান পাপনকে ক্রীড়ামন্ত্রী বানালেন তা সহজেই বোঝা যায়।

সালমান এফ রহমান প্রিয় ভাজন লিস্টে আরেক নাম কাজী সালাউদ্দিন। ১৬ বছর থেকে বাফুফের শীর্ষ পদে বহাল থেকে কার্যত দেশের ফুটবলের বারোটা বাজিয়েছেন তিনি।

তারপরেও বাফুফে থেকে তাকে এক চুলও সরানো যায়নি। কারণ কাজে সালাউদ্দিনের খুঁটির জোর সালমান এফ রহমানের সুনজর।

আবাহনীকে পরিপূর্ণ ক্রিয়া কমপ্লেক্স এর স্বপ্ন দেখালেও আজ পর্যন্ত সম্পূর্ণ করতে পারেননি। উল্টো শেখ কামালের নামে যে স্থাপনা করছেন সেখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল কিংবা ক্রিকেট ভবিষ্যতে কোনো ম্যাচই আয়োজন করা যাবে না।

সালমানের ফাকা বুলি আরও আছে গেল বছর তিনি বলেছেন যে মেসিকে বাংলাদেশে আনবেন। কিন্তু বছর ঘুরে সরকার পাল্টে গেল মেসির দেখা আর পাওয়া গেল না। ক্রিড়াঙ্গনকে মুক্ত করতে আন্দোলনে নামে ক্রিড়া সংগঠকরা।

সালমান এফ রহমান ক্রিড়ার ভাবমুর্তি যেভাবে নষ্ট করেছেন সেটা ভালো হতে কত বছর লাগবে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *