যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ সংশোধন: অবশেষে বাদ পড়ল শেখ হাসিনার নাম!

‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ থেকে অবশেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের তৃতীয় বৈঠকে এ অনুমোদন হয়।

ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে- এ যুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটির নাম থেকে শেখ হাসিনা অংশটি বাদ দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সম্ভাবনাময় যুবদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা এবং দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে যুবদের নিয়োজিত করার জন্য গবেষণা, উচ্চ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়া এবং এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে একটি কেন্দ্রীয় ও আধুনিক মানসম্পন্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার জন্য ‘শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৮’ প্রণীত হয়। প্রতিষ্ঠানটির নামের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ করার জন্য অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সরকারি অর্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনার নামকরণের ক্ষেত্রে আইনি কাঠামো প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা করবে।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার ও কাতার সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক পুঁজি, বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত ১১ আগস্ট সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *