যাদের জনসমর্থন নেই, তারা এ ধরনের চিন্তা-ভাবনা করে: জামায়াতকে ফখরুল

‘আন্দোলনে শহীদ পরিবারের আহাজারি ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বিএনপির দ্রুত নির্বাচনের দাবি জনগণ মেনে নেবে না’- জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমানের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণ মনে করে না যে, এরা সরকার চালাতে পারবে। তারা এ ধরনের বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা করে। আমি কোনো দলের নাম বলছি না।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। গতকাল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

স্বৈরাচারের দোসররা নিরপেক্ষ দাবি করে উইপোকার মতো অবস্থান নিয়েছে: রিজভী
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, আমাদের লড়াইটা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। সেটার জন্যই তো নির্বাচন। এটা তো আমাদের রাইট, আমাদের অধিকার। আমরা তো নির্বাচনের জন্যই এত দিন লড়াই করেছি, সংগ্রাম করে এসেছি।

জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যে বাতিল করা হলো, তার জন্য ওই দলগুলো মিলেই তো আমরা আন্দোলন করেছি। ওই দলগুলোর অনেকের আন্দোলনে অনেক নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে। এমনকি তাদের অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন ওই আন্দোলনকে ওই বিষয়কে বাদ দিয়ে আমি তো অন্য রাজনৈতিক চিন্তা এই মুহূর্তে করব না। হ্যাঁ, অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে একটি আন্দোলন-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। অবশ্যই এই সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে। তার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি, করব যত দিন আমরা মনে করি সরকার রাইট ট্রাকে থাকবে অবশই আমরা সেটা করব।

তিনি বলেন, আমরা তো ভুলে যাইনি এক-এগারোর সময় কারা চেষ্টা করেছিল বিরাজনীতিকীকরণের। এমনকি ওই সময়ে আমাদের দলকে পর্যন্ত পুরোপুরি বাতিল, নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টাও হয়েছিল। এ কথাগুলো তো আমরা ভুলতে পারি না। এটা আমার গণতন্ত্রের জন্য, আমার রাজনীতির জন্য, আমার দেশের কল্যাণের জন্য- এ কথাগুলো আমার মনে রাখতে হবে। আবার ওই চেহারাগুলোই যদি সামনে দেখি, তখন তো যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক হয়, প্রশ্ন এসে যায়। সে কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে যাঁরা কাজ করেছেন, যাঁরা সহায়তা করেছেন, যারা হত্যা করেছে, আমরা তাঁদের চেহারা দেখতে চাই না। যাঁরা গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য কাজ করেছেন তাঁদেরও এ দেশের মানুষ দেখতে চায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষ এখানে একটা ডেমোক্রেটিক সেটআপ চায়, গণতন্ত্র চায়। মানুষ নির্বাচন চায়। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আপনি দেখবেন যে, মানুষ কত খুশি হয় যখন নির্বাচনের কথা উঠে। আমি যদি মনে করি, একজন ব্যক্তি একেবারে স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারবে-আমাদের ওই চিন্তাটা সঠিক হবে না। কারণ জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কীভাবে চলবে।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *