‘সাবেক অধিনায়ক হিসেবে আমাকে ছাড় দেয়নি, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে’

জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেছেন, ‘আমি খেলা থেকে অবসর নিয়েই রাজনীতি করেছি। যেটা সাকিব আল হাসান কিংবা মাশরাফি বিন মুর্তজা করেনি। আমি দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, খুন–গুমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করেছি। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। এ জন্য গত ১৫ বছর আমাকে বহুবার গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা গোলকিপার আরও বলেছেন, ‘আমার বেলায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের পরিচয়টি সামনে আসেনি, এসেছে আমার রাজনৈতিক পরিচয়। রিমান্ডে নিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।’

জাতীয় দলের সাবেক এই গোলকিপার বলেন, ‘আমরা একটা অন্ধকার সময় পেরিয়ে এসেছি। আমরা গত ১৫ বছরের কোনো অন্যায়েরই পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা এমন একটা সমাজ ও দেশ চাই, যেখানে শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার জন্য কাউকে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে না হয়।

সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব। গত ৫ আগস্ট সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই বিপদে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়া ব্যক্তিরা। সেই তালিকায় আছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিবও।

আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে অনেক হত্যা, নৈরাজ্য হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি করা হয়েছে সাকিব আল হাসানকেও। যে কারণে তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে।

তবে সাকিব যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেই প্রত্যাশাই করেন আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি করায় জেল জুলুমের নির্যাতনের শিকার হওয়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *