কলেজ কমিটি নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পালটাপালটি অভিযোগ!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। পরস্থিতি শান্ত রাখতে শুক্রবার গল্লাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ও রাতে দুই দফায় বিএনপির দুই গ্রুপ এমএ হান্নান এবং লায়ন হারুন গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি এবং রাতে গল্লাক বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে থানায় পালটাপালটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত বুধবার কলেজের সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ কলেজের অ্যাডহক কমিটি জমা দিতে গেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বর থেকে কে বা কারা শিক্ষকদের হাত থেকে কমিটির কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলে যাওয়ার সময় উপস্থিত বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কথাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এতে কলেজ আঙিনা এবং গল্লাক বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একই ঘটনায় রাতে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সূত্রেমতে, বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থক তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে অ্যাডহক কমিটির প্রধান করতে চায়। কেউ চাচ্ছেন লায়ন হারুন গ্রুপের উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান কচি অ্যাডহক কমিটি প্রধান হোক।

অন্যরা চাচ্ছেন বিএনপির এ হান্নান গ্রুপের নেতা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ কলেজের অ্যাডহক কমিটির প্রধান থাকুক।

ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, কলেজের অধ্যক্ষ নিয়ে এখনো কলেজ ব্যবস্থাপনা অস্থির। আমরা চেয়েছিলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বসে আলাপ আলোচনা করে অ্যাডহক কমিটি গঠন করব; কিন্তু ওরা বিতর্কিত শিক্ষক হারুনকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অ্যাডহক কমিটি গঠন করে জমা দিতে যায়। কিছু লোক কচির কথা বলেছে। অথচ বিগত দিনে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে লিঁয়াজো করে চলেছে। এখন তাদের দিয়ে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করাচ্ছে।

উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান কচি জানান, আমাদের পরিবার এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেক কাজ করেছে। ইউএনওর কাছে অ্যাডহক কমিটি জমা দিতে গেলে একদল লোক শিক্ষকদের হাত থেকে ফাইল নিয়ে যায়।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি হানিফ সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে গল্লাকের ঘটনায় উভয়পক্ষ পৃথক দুটি অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনা তদন্তে ও এলাকার শান্তি রক্ষায় শুক্রবার এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *