টার্গেট ২২১। বাকি ছিল আড়াই সেশনের খেলা। এমন অবস্থায় জয়ের চেয়ে ম্যাচ বাঁচানোর দিকেই নজর ছিল সারের ব্যাটারদের। ধৈর্যশীল ব্যাটিং দিয়ে সেই চেষ্টায় অনেকটা সফলও হয়েছিল তারা। ডম সিবলি এবং বেন ফোকস খেলেছেন একেবারেই টেস্ট মেজাজে। সিবলি ১৮৩ বলে করেছেন ৫৬ রান। আর বেন ফোকসের ১০০ বলের ধৈর্যশীল ইনিংস থেকে এসেছে ২০ রান।
দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নেন সাকিব। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের ২৫ ওভারে ৮৩ রানে ৪ উইকেট নেন সাকিব। পঞ্চম ওভারে নিজের দ্বিতীয় বলে আর্চি ভনকে বোল্ড করার পর টম অ্যাবেলকে এলবিডব্লিউ আউট করেন তিনি। ফিরেছেন জেমস রিভ ও সমারসেটের অধিনায়ক লুইস গ্রেগরিও।
শেষ দিনে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছেন টম ব্যান্টনের। প্রথম ইনিংসে সমারসেটের হয়ে সেঞ্চুরি করেন ব্যান্টন। আজ সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হন তিনি। পূর্ণ করেছেন ৫ উইকেট।
সাকিবের বোলিংয়ের কারণে ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে সারে। তৃতীয় দিন শেষে সমারসেটের লিড ১৯০ রানের। চতুর্থ দিনের শুরুতে যোগ হয় আরও ৩০ রান। আড়াই সেশন বাকি আছে শেষ দিনের। সারে এখন ২২১ রানের লক্ষ্য।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সমারসেটের সংগ্রহ ছিল ৩১৭ রান। টম ব্যান্টনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও সাকিবের ৪ উইকেট সারেকে আটকে রাখে। জবাবে টম কারানের ৮৬ ও রায়ান প্যাটেলের ৭০ রানের সুবাদে সারে ৪ রানের লিড পায়। ১২ রান করে আউট হন সাকিব।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাকিবের বলে বোল্ড আউট হন সমারসেট। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার ৯৬ রানে ৫ উইকেট নেন। তাই এক ম্যাচের কাউন্টি অধ্যায় সাকিবের জন্য সুখকর বলা যেতে পারে।
সমারসেট ১ম ইনিংসঃ ৩১৭/১০ ওভারঃ ৯৫.৫, (লইস ০, আরকি ভওগান ৪৪, টম ২১, টম আবেল ৪৯, টম বেনটন ১৩২, জেমস রিউ ৩৮, কিসেএ ১৫, লুইস ০, অভারটন ৬, রেনডেল ৩, জ্যাক ১*, )
সাকিবঃ ৩৩.৫ ওভার বল করে ৯৭ রান ৭ মেইডেন নিয়ে ৪ উইকেট নেন।
সারে ১ম ইনিংসঃ ৩২১/১০ ওভারঃ ১১২.২ ( ররি ২১, সিবলি ১৬, প্যাটেল ৭০, গেডস ৫০, ফকস ৩৭, সাকিব ১২, টম কারেন ৮৬, জরডান ১, স্টিল ০, রোচ ৫, ড্যানিয়েল ৫*) সারে ৪ রানে এগিয়ে।
সমারসেট ২য় ইনিংসঃ ২২৪/১০ ওভারঃ ৫৪ (লুইস ৯,আরকি ৩, টম ২৪, টম অ্যাবেল ১৮, কাছেএ ১০, রিউ ২৯, জর্জি ১৩, ওভারটন ৪০, রেনডেল ১, জ্যাক লিস ১৩, টম ব্যানটন ৪৬*) সমারসেটের ২২১ রানের লিড।
সাকিবঃ ২৯.৩ ওভার বল করে ৯৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন।
সারে ২য় ইনিংসঃ ১০৯/১০ ওভারঃ ৭৮
ফলাফলঃ সমারসেট ১১১ রানে জয়ী হয়।
Leave a Reply