ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন এবারও পূরণ হলো না ব্রাজিলের। রাউন্ড অব সিক্সটিনে আর্জেন্টিনার বিদায়ের পর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলো লাতিন অঞ্চলের বাকি দুই দল ব্রাজিল ও কলম্বিয়াও।
উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের হারে অনূর্ধ্ব-২০ নারী বিশ্বকাপের ১১তম আসরের যাত্রা শেষ হলো ব্রাজিলের।
নারীদের বয়সভিত্তিক এ বিশ্বকাপ আসরটির যেন লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্য এক হতাশার আসর। চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পাওয়া তো দূরে থাক, গত দশ আসরে একবারও ফাইনালের স্বাদ পায়নি তারা। লাতিনদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ব্রাজিল গত আসরের আগে ২০০৬ সালে একবার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল। কিন্তু এবার তাদের যাত্রা থামলো শেষ আটেই। একইদিন স্বাগতিক কলম্বিয়া নির্ধারিত সময়ের ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করার টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায়। লাতিনের আরেক দল আর্জেন্টিনা তো শেষ ষোলোতেই ৫-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল জার্মানির কাছে।
ব্রাজিল বিদায় নিলেও অবশ্য লড়াইটা একেবারে মন্দ করেনি। ৫৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ১০টি শট নেয় তারা। যার ২টি ছিল লক্ষ্য বরাবর। পাস সংখ্যায়ও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু আক্রমণে দাপট ছিল উত্তর কোরিয়ার। ১৭টি শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্য বরাবর রেখেছিল তারা।
ম্যাচের ৩২তম মিনিটেই ডি-বক্সে অরক্ষিত জায়গায় বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন রিয়ং-জং জন। তবে সেটি বারে লেগে ফিরে আসে। এক মিনিট পর হং-রিয়ন হ্যানের দূরপাল্লার শট কোনোরকম কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক রিলারি ফেরেইরা দা সিলভা। বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণে যায় সেলেসাওরা। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুদিনহার নিচু শট গ্লাভসবন্দি করে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি কোরিয়ান গোলরক্ষকের।
একের পর এক ব্যর্থ আক্রমণের পর অবশেষে ৪৯তম মিনিটে সাফল্যের দেখা পায় কোরিয়ার মেয়েরা। ডান প্রান্ত থেকে রিয়ং-জং জনের ক্রস মাটিতে পড়ে লাফিয়ে উঠার পর ডি-বক্সে বুকের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণে নেন মিডফিল্ডার উন-য়ং চ্যায়ে। এরপর নিঁখুত এক শটে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে ভাসান আনন্দে। ডানদিকে ঝাপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি রিলারি ফেরেইরা দা সিলভা। শেষ পর্যন্ত ১ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দুই বারের চ্যাম্পিয়নরা।
Leave a Reply