পেটের অতিরিক্ত মেদ বা ভুঁড়ি অনেকের জন্যই একটি অস্বস্তিকর বিষয়। কর্মব্যস্ত জীবনে খাবারের সময়ের কোনো ঠিক থাকে না, সময় পেলেও বাইরের খাবারের উপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা, মদ্যপান- সব মিলিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে। এমন ছোট ছোট অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের কারণে আমাদের পেটে মেদ জমে। পেট ছাড়াও শরীরের অন্যান্য স্থানে মেদ জমার অন্যতম কারণ এই অভ্যাসগুলো।
তবে ডায়েট শুরু করার আগে কিন্তু রান্নাঘরে কিছু বদল না আনলেই নয়। জেনে নিন, ওজন ঝরাতে রান্নাঘরে কোন কোন বদল আনা জরুরি।
১. ফ্রিজে পরিবর্তন জরুরি: প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা প্যাকেটজাত খাবার দিয়ে ফ্রিজ ভরে রাখবেন না। তরমুজ, ফুটি, কিউয়ি, শসা, স্ট্রবেরি জাতীয় ফল ও সবজি কিনে ছোট ছোট করে কেটে কৌটোয় ভরে ফ্রিজে রাখুন। হালকা খিদে পেলে ফল খেয়ে নিন। রান্নায় বেশি করে ব্যবহার করুন সবুজ শাকসবজি।
২. কাপ ও চামচের ব্যবহার: রান্নাঘরে সাধারণ বাটির বদলে পরিমাপ করা যায় এমন কাপ ও চামচ রাখুন। এতে খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে ও বেশি খাওয়া আটকাতে পারবেন। পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে মেপে খাওয়া শুরু করুন। তেলের পরিমাপ, ভাতের পরিমাপের উপর নজর দিন। রান্নায় চিনির ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
৩ স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস: মেদ ঝরাতে ডায়েটে বেশি করে সবজি রাখতে হবে। প্রত্যেক বার খাওয়ার সময়ে বাটি ভরে স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করুন। স্যালাড খেলে পেট ভরা থাকে, খুব বেশি কার্বোহাইড্রেট, যেমন ভাত-রুটি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। বার বার স্যালাড তৈরি করার ঝক্কি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই দিনের শুরুতেই বড় বাটিতে স্যালাড বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। যখনই খাবার খাবেন তার আগে অল্প করে স্যালাড খেয়ে নিন। তবে স্যালাড তৈরির সময় মেয়োনিজ, স্যালাড ড্রেসিং, সস্ রাখা যাবে না। সামান্য লেবু, সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচ মিশিয়ে স্যালাড খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. রান্নাঘরে মুখরোচক ভাজাভুজি খাবার রাখবেন না: রান্নাঘরে সোডা, কুকিজ, নুডল্স, পাস্তার মতো বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা চলবে না। খিদে পেলেই চটজলদি বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন ‘রেডি টু ইট’ খাবার রান্নাঘরে রাখবেন না।
৫. ছোট প্লেট ব্যবহার করুন: খাবার নেওয়ার সময়ে থালা ভর্তি করে নেওয়াই আমাদের অভ্যাস। রান্নাঘর থেকে বড় থালা সরিয়ে ছোট ছোট প্লেট রাখুন। এতে স্বাভাবিক ভাবেই থালা ভরে খাবার নিলেও খাবারের পরিমাণ কমে যাবে।
Leave a Reply