দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরাম এবং ইসলামী রাজনীতিবিদদের জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ৭টি পরামর্শ তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসায় এ পরামর্শ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসায় মুহতামিম ও বেফাকের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান। এসময় ১০০ থেকে ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আযহারী, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের ৭ প্রস্তাব হলো-
১। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারে ইসলাম বিরোধী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না এবং সংবিধানসহ প্রতিটি কমিশনে উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
২। শিক্ষা সংস্কার কমিটিতে ইসলামী শিক্ষাবিদ, কারিকুলাম ও সিলেবাস বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩। সংস্কারের সুযোগে পাশ্চাত্য বিভিন্ন মতবাদ, ট্রান্সজেন্ডার, এলজিবিটিকিউ, উগ্র নারীবাদ, সর্বধর্মবাদ ইত্যাদি অনুপ্রবিষ্ট করা যাবে না।
৪। মহানবী (স.) শান ও মান এবং খতমে নবুওয়াত সমুন্নত রাখার জন্য আইন পাশ করতে হবে।
৫। রাষ্ট্র, সমাজ ও সরকারের প্রতিটি ক্ষেত্রে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির মূল্যায়ন করতে হবে।
৬। বাংলাদেশের যাবতীয় দ্বীনি কার্যক্রমের শরীয়াভিত্তিক বিশ্লেষণ ও দিক নির্দেশনার জন্য আল্লামা মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে।
৭। জাতীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবের আলোকে ইসলামী অঙ্গনে ব্যাপক আকারে ঐক্যের রূপরেখা তৈরি করে আল-হাইয়াতুল উলিয়ায় উপস্থাপন করা হবে।
Leave a Reply