কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ বাজারস্থ আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার শিক্ষক সজিব হোসেন প্রকাশ মহসিনের বিরুদ্ধে তানহা নামের ৭ম শ্রেণির একজন ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কাশারিখোলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আবুল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে লালমাই থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকসহ অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নিখোঁজ মেয়েটির মামা আলম বলেন, সোমবার সকালে তানহা মাদরাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।
বিকেলে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরবর্তীতে জানতে পারি মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষক সজিব হোসেন প্রকাশ মহসিন আমার ভাগ্নিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অপহরণ করেছেন। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্ত শিক্ষক সজিবের মামা পরিচয় দিয়ে শাকিল নামের একজন বলেন, মেয়েটার বয়স ১৪ বছর, ছেলের বয়স ১৯ বছর।
দুজনেই কম বয়সী। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছে। আইনি ঝামেলা বাদ দিয়ে দুই পরিবার মেনে নিলে ভালো হবে।
আয়েশা ছিদ্দিকা মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটি আমার মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সে আমার মাদরাসার হিসাবরক্ষক কাম জুনিয়র শিক্ষক ছিল। এই রকম কিছু অভিযোগ আসতে থাকায় গত ৬/৭ মাস আগেই আমি তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দিয়েছি। ঘটনার দিন মেয়েটি মাদরাসার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হলেও মাদরাসায় আসেনি। শুনেছি প্রাক্তন সেই শিক্ষকের সঙ্গে পালিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগমারা বাজারের একজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় দুই মাস আগে আয়েশা ছিদ্দিকা মাদরাসার আরবি শিক্ষক মুফতি মোশারফ হোসেন একজন ছাত্রীকে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেছেন।
এভাবে চলতে থাকলে অভিভাবকরা মেয়েদের মহিলা মাদরাসায় পড়াতে আগ্রহ হারাবে।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মাদরাসার প্রাক্তন একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Leave a Reply