স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কাবিননামা হাতে নিয়ে ভোলায় সুরমা বেগম (৩২) নামে দুই সন্তানের এক জননী অনশন শুরু করছেন মিজান (৩৫) নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে। এ ঘটনার জেরে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত শিক্ষক একই গ্রামের মৃত সোবহান ডাক্তারের ছেলে এবং উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
অনশনে থাকা ও নারী একই ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ আলী সরদারের ছেলে বজলুর রহমানের স্ত্রী।
এ বিষয়ে সুরমা বেগম বলেন, আমার ছেলে চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিজানের হাইস্কুলে পড়াশোনা করত। ছেলেকে নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। মিজান আমার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রায় সময় আমাকে কল দিতেন। এভাবেই কথা বার্তার একপর্যায়ে তিনি আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিলে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ২০২৩ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় উত্তর আইচা বাজারে কাজী অফিসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে মিজান আমাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
সুরমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মিজান আমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় শনিবার বিকেলে তার ঘরে যাই। এ সময় তার স্ত্রী আমাকে মারধর করেছেন। মিজানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও বিয়ের কথা জানার পর আমার স্বামী আমাকে রেখে চলে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি, আমি খোঁজ নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply