ত্রাণ তহবিলের গচ্ছিত টাকা কোথায় খরচ হবে, জানালেন সমন্বয়ক কাদের!

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে রংপুর বিভাগের ৪ জেলায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে রংপুর ৪ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

এমতাবস্থায় বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতমাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা চলাকালে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে যে অর্থ অতিরিক্ত রয়েছে তা দিয়েই উত্তরাঞ্চলে এ ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অতি ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যা দেখা দিয়েছে।

আমাদের কাছে পূর্বে উত্তেলিত যে নগদ অর্থ আছে, সেটা দিয়ে উত্তরবঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা একান্তই কাম্য।’
অপর একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই সব এলাকার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করেছি। সার্বিক বিষয়ে তথ্য নিয়েছি।

রাত সাড়ে আটটায় ঢাবির মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আমরা সবাইকে নিয়ে আবারো বসব। উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একান্তই কাম্য।’
জানা যায়, গত আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণত্রাণে মোট ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। নগদ অর্থ, ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত অর্থ থেকে মোট এক কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা ব্যয় হয়েছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ওইদিন থেকে ত্রাণ গ্রহণের সব কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণাও করেন তারা।
ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ তহবিলে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা জমা আছে। অবশিষ্ট অর্থ বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করা হবে। এক্ষেত্রে সরকারের দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমম্বয় করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *