জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ৪ হাজার ৬৩৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধানকারী আইনজীবীদের একটি দল। শুধু গুলিই নয়, মিলেছে গ্রেনেড ব্যবহারেরও প্রমাণ। আইনজীবীরা বলছেন, আন্দোলন দমনে শুধু দেশের আইনই নয়, আন্তর্জাতিক নীতিও লঙ্ঘন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন রুখতে কী ধরনের অস্ত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে অনুসন্ধান করছে আইনজীবীদের একটি দল। জুলাইয়ের ঘটনায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে পুলিশের করা ১০০টি মামলা পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়না ৭.৬২ এমএম, এসএমজি, টরাস ৯ এমএম, অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্রের বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১৬ রাউন্ড। এ ছাড়া পিস্তলের গুলি ২৫৬ এবং ভারী বল কার্তুজের বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে ৬২ রাউন্ড।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুধু গুলি, রাবার বুলেটে, সাউন্ড গ্রেনেডই নয়, ১০০টি মামলার এজাহারে ১৬টি গ্রেনেড ব্যবহারেরও তথ্য মিলেছে।
অনুসন্ধান দলের সদস্যরা জানান, আন্দোলন দমনে শুধু দেশের আইনই নয়, আন্তর্জাতিক রীতিনীতিও লঙ্ঘন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
অনুসন্ধানকারী আইনজীবী টিমের সদস্য ড. কাজী জাহেদ ইকবাল বলেন,
দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলপ্রয়োগের তো একটা মাত্রা থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে মানুষের অধিকার তো হরণ করা যাবে না। কিন্তু সেখানে প্রচুর পরিমাণে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। এটা পুরোপুরি আইনের লঙ্ঘন।
আরেক সদস্য আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মারণাস্ত্র ব্যবহার হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। যে পরিমাণ অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা টার্গেট পয়েন্ট হিসাব করলে কী পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হতে পারে, সেটা হিসাব করে দেখেন!’
আন্দোলন দমনে বল প্রয়োগে জড়িতদের বিচারে জুলাই-আগস্টের সব মামলার তথ্য পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হবে বলেও জানান আইনজীবীরা।
Leave a Reply