দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা, পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারের আড়াই টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম আজ (১ জুন) থেকে কার্যকর হবে।
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে গত বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
রোববার থেকে টিসিবির পণ্য পাবেন ফ্যামিলি কার্ডধারীরা
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৭ টাকা থেকে এক পয়সা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা, পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য ১ জুন থেকে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০ দশমিক ৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫ দশমিক ৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩ দশমিক ৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩ দশমিক ৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে ভারতের থেকে বাংলাদেশে লিটার প্রতি জ্বালানি তেলের দাম যথাক্রমে প্রায় ১৭ দশমিক ৯৫ টাকা ও ১৬ দশমিক ৯৬ টাকা বেশি।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।
এর আগে মে মাসেও তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে আড়াই টাকা করে বাড়ানো হয়। তবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে দাম কমেছিল। এপ্রিলে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমানো হয়েছিল। মার্চে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয়। অকটেনের দাম লিটার প্রতি ১৩০ থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ থেকে ৩ টাকা কমিয়ে ১২২ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।
Leave a Reply