৫ মিনিটের ‘মেসি ম্যাজিকে’ ইন্টার মায়ামির দ্বিতীয় শিরোপা জয়!

লিওনেল মেসি ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেয়ার আগে তাদের শোকেসে ছিল না কোনো শিরোপাই। এরপর মেসি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। দুই মৌসুম না যেতেই ইন্টার মায়ামিকে এনে দিলেন দ্বিতীয় শিরোপা। গত বছর লিগস কাপের শিরোপা এনে দেয়ার পর এ বছর জেতালেন সাপোর্টার্স শিল্ড।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) লোয়ার ডটকম স্টেডিয়ামে সাপোর্টার্স শিল্ডের ফাইনালে কলম্বাস ক্রুর বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে মায়ামির জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। বাকি গোলটি করেন লুইস সুয়ারেজ।

স্বাগতিক কলম্বাস ক্রুর পক্ষে দিয়েগো রসি এবং চুচো হার্নান্দেজ দুটি গোল শোধ করেন। এদিন ৬৩ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্রু’র রুডি কামাচো।

এটি মেসির ক্যারিয়ারের ৪৬তম শিরোপা।

ঘরের মাঠে বলের দখলে পিছিয়ে থাকলেও শট নেয়ায় এগিয়ে ছিল কলম্বাস ক্রু। মোট নয়টি শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রেখেছিল তারা। বিপরীতে মায়ামির ছয়টি শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল।

৩৪ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পায় ক্রু। ক্রিস্টিয়ান রামিরেজের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪৪ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় মায়ামির ডি-বক্সের সামনে পৌঁছে শট নিয়েছিলেন দিয়েগো রসি। সে শট অবশ্য ঠেকিয়ে দেন মায়ামির গোলরক্ষক।

৪৫ মিনিটে মায়ামিকে এগিয়ে দেন মেসি। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সের সামনে বুক দিয়ে নামান মেসি। এরপর সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার আটকানোর চেষ্টা করলে তার পায়ে লেগে ফের মেসির পায়েই বল চলে আসে। আলতো টোকায় তাকে ফাঁকি দেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে মায়ামি। এবার ফ্রি-কিক থেকে ম্যাজিক দেখান মেসি। ডি-বক্সের বেশ বাইরে বাঁ দিকে ফ্রি-কিক পেয়েছিল মায়ামি। মেসি বাঁ প্রান্ত দিয়েই বল জালে পাঠান। গোলরক্ষক বলের লাইনেই যেতে পারেননি।
 
সাপোর্টার্স শিল্ড হাতে ড্রেসিংরুমে মায়ামির খেলোয়াড়দের উল্লাস। ছবি: এক্স

বিরতির ঠিক পরেই ব্যবধান কমায় কলম্বাস ক্রু। রক্ষণভাগের ভুলে বল পেয়ে বাঁকানো শটে গোল করেন রসি। তবে দুই মিনিট পরেই ফের মায়ামিকে এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ।

মায়ামির অর্ধ থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল সহজেই ধরেন ক্রু’র গোলরক্ষক। কিন্তু নিজের দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় বল হাত ফসকে যায় তার। ফাঁকায় দাঁড়ানো সুয়ারেজ হেডে বল জালে পাঠান।

৫৩ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস করেন মেসি। তার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬০ মিনিটে ডি-বক্সে হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টি পায় ক্রু। চুচো হার্নান্দেজ স্পটকিকে বল জালে পাঠান।

৬৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ক্রু’র রুডি কামাচো। ৭৬ মিনিটে ক্রু’র মোহামেদ ফারসির জোরাল শট দুর্দান্তভাবে ঠেকান মায়ামির গোলরক্ষক।

৮৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় ক্রু। কিন্তু সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে মায়ামির জয়ের নায়ক বনে যান গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে চুচো হার্নান্দেজের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে মেসির দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *