বিজিবির অভিযানে সেপ্টেম্বরে ২৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী উদ্ধার!

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ২৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।

রোববার (০৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো পিবিজিএমএসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২৬ কেজি ৭৫৩ গ্রাম স্বর্ণ, ১০ কেজি রূপা, ২ কেজি ৯৯৩ গ্রাম সাপের বিষ, ২,৯৪,৪৮২টি কসমেটিকস সামগ্রী, ২৫,৪৪২টি শাড়ি, ১১,৬২০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল/তৈরি পোশাকের জন্য ৪০,০১৬ মিটার থান কাপড়, ১,৯৭৮ ঘনফুট কাঠ, ২৪,৬৬৭ কেজি চা পাতা, ৪,৭৭,৪৫০ কেজি চিনি, ৪,০৪১ কেজি সার, ১,১১,৯৮০ ঘনফুট কয়লা, ১২,৯০০টি মোবাইল ডিসপ্লে, ১,৯৬০টি চশমা, ৩০,৬৮৭ কেজি সুতা/কারেন্ট জাল, ৪৫,৬১২ কেজি সুপারি, ২৮,৪১৬ কেজি মাছ, ৩,৭৭৪ কেজি পেঁয়াজ, ৩৭,৬১৭ কেজি রসুন, ৪,৬০৪ কেজি জিরা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৯টি ট্রাক, ১৭টি পিকআপ, ৭টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৮টি ট্রলি, ১৯১টি নৌকা, ২১টি সিএনজি/ইজিবাইক, ১০৮টি মোটরসাইকেল এবং ২১টি বাইসাইকেল।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি পিস্তল, ১টি গান জাতীয় অস্ত্র, ১০টি ককটেল ও ০৭ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও গত মাসে বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে।

জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১২,৮২,৯৪৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ কেজি ৪১৩ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৬ কেজি ৮৭৪ গ্রাম হেরোইন, ২৯ হাজার ১৬৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০,৬৩৮ বোতল বিদেশি মদ, ১৩৭ লিটার বাংলামদ, ১,৩৪৭ ক্যান বিয়ার, ১,৯৯৮ কেজি গাঁজা, ৮৯,০৪৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ২,৬২,৭০১টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩৭৭২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ২৫ কেজি ৪৪৪ গ্রাম কোকেন, ৬৩০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ৩,০৭,৫৮০টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, ৮৪,০৯,৪৮০টি অ্যানগ্রো/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩ বোতল এলএসডি এবং ৩৮,৬৫৫টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৪১ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২৯৮ জন বাংলাদেশি ও ২৪ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ১,৬২১ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।