প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া সারানোর ঘরোয়া ৫ উপায়!

বর্তমান সময়ে অর্থাৎ তীব্র গরমে এই সমস্যা বাড়ছে। প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে জ্বালাপোড়া করে। নারী কিংবা পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে যখন মূত্রনালির নিম্নাংশ আক্রান্ত হয় তখন চিকিৎসাশাস্ত্রে এই পরিস্থিতিকে বলা হয় মূত্রথলির সংক্রমণ বা সিস্টাইটিস আর মূত্রনালির ঊর্ধ্বাংশ আক্রান্ত হলে তাকে কিডনির সংক্রমণ বা পায়েলোনেফ্রাইটিস বলে ধরে নেন বিশেষজ্ঞরা। নারী কিংবা পুরুষ উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

আমেরিকান হেলথ লাইনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পুরুষের তুলনায় নারীরা প্রস্রাবের সংক্রমণে বেশি ভোগেন। কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের মূত্রনালীর যে টিউব মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব বহন করে তা পুরুষের মূত্রনালী থেকে ছোট। তাই মূত্রনালী আর মূত্রাশয়ের দূরত্ব নারীদের কম হওয়ায় সহজে ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এজন্য প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া করে

প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার সমস্যা সারানোর ঘরোয়া কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক-

১। প্রথমেই চিকিৎসকরা এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তা হলো বেশি বেশি পানি পান করা। কারণ ইউটিআইয়ের অন্যতম একটি কারণ হলো শরীরে পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশন।

২। প্রস্রাবে ইনফেকশন থেকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্ত হতে ফ্লুইডযুক্ত তরল খাবার খান। রঙিন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড থাকে।

৩। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার দারুণ কাজ করে প্রস্রাবের সংক্রমণের বিরুদ্ধে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন সি শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই বাড়ায় না, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। নিয়মিত ভিটামিন সি খাওয়ার অভ্যাসে প্রস্রাব বেশি পরিমাণে অ্যাসিডিক হয়ে ওঠে যা প্রস্রাবে ইনফেকশন তৈরি করা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে।

৪। ক্র্যানবেরি ফল ও ফলের জুস ভালো কাজ করে প্রস্রাবে ইনফেকশন মুক্তিতে। প্রোবায়োটিক খাবারও এ সমস্যা দূর করতে কার্যকরী। দই প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার। এ খাবার গ্রহণে শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে।

আরও পড়ুন: হার্ট দুর্বল কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে

৫। ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চললে প্রস্রাবের সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসে। এজন্য প্রথমে যে কাজটি করবেন বেশি সময় ধরে প্রস্রাবের বেগ আটকে রাখবেন না। পাশাপাশি প্রস্রাবের সংক্রমণ কমাতে টয়লেট ব্যবহারে সচেতনতা ও ব্যক্তিগত অঙ্গের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *