ঘাড়ের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে যা করবেন!

বেশিক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শুধু ঘাড় নয়, পিঠ ও কোমরেও ব্যথা হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এক জায়গায় বসে থাকলে ঘাড়ের পেশিগুলো স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারায়। তাই ঘাড়ের পেশিগুলো সচল রাখতে কাজ করতে করতেই ঘাড় কাত করে রাখুন। এতে ঘাড়ের ব্যথা অনেকটাই আপনার থেকে দূরে থাকবে।

ঘাড় ব্যথার সমস্যায় যেন পড়তে না হয় সে কারণে কিছু বিষয় মেনে চলা প্রয়োজন। যেমন, যাই করেন না কেন একভাবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় থাকবেন না। টেবিলের ওপর ঝুঁকে কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাই এ অভ্যাস থাকলে এখনই তা এড়িয়ে চলুন।

ঘাড় ব্যথা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। শক্ত বিছানায় ঘুমাতে চেষ্টা করুন।

এসব সাবধানতা মেনে চলার পরও যদি ঘাড় ও পিঠ ব্যথা শুরু হয় তবে দ্রুত এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু উপায় আছে তা মেনে চলুন।

১. ঘাড় ব্যথা শুরু হলেই প্রথমে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে পড়ুন।

২. গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে চাপ দিয়ে পানি ঝরিয়ে সেই ভেজা হালকা গরম তোয়ালে ঘাড় ব্যথার স্থানে সেঁক দিন।

৩. সরিষা তেলে রসুন ও কালোজিরা দিয়ে চুলায় গরম করে নিন। কুসুম গরম থাকতেই সে তেল দিয়ে ঘাড় ও পিঠ ব্যথা স্থানে মালিশ করুন।
৪. এরপর পেশীগুলোতে রক্ত চলাচলের জন্য ১ মিনিটের মতো হালকা ব্যায়াম করুন।

৫. সোজা হয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। এতে করে ঘাড় ব্যথা দ্রুত কমতে শুরু করবে।

৬. কম্পিউটারের সামনে অনেক সময় বসে থাকলে ঘাড় ব্যথা বাড়ে। দীর্ঘ সময় সামনের দিকে না তাকিয়ে কাজের ফাঁকে মাথা নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখতে পারেন। কমপক্ষে পাঁচ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে থাকুন। তাহলে ঘাড়ের ব্যথাকে জয় করতে পারবেন অনেকটাই।

দীর্ঘসময় টানা কাজ করার অভ্যাসে ঘাড় ব্যথা হতে পারে। কখনও কখনও এই ঘাড় ব্যথাই মারাত্মক রোগের সংকেত দেয়। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ঘাড় ব্যথার সঙ্গে মারাত্মক কিছু রোগের সম্পর্ক রয়েছে। যেমন, রুমটাইড আর্থ্রাইটিস, ক্যানসার, হাড়ে গভীর চোট, নার্ভাস এবং স্পাইনাল কর্ড ড্যামেজ, ইনফেকশন, বোন ডিসঅর্ডার ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *