গোলাম মাওলা রনির মন্তব্য তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ওএসডি করা নিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার এবং নৈতিকতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। তিনি বিশেষভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, কেন একজন সরকারি কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো, যেখানে অন্যায় বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অনেকেই পুরস্কৃত হন বা পদোন্নতি পান। রনি তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় নীতি ও প্রশাসনের নৈতিক মানদণ্ডের ওপর প্রশ্ন তুলেছেন।
রনির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থার ভেতরে বিদ্যমান রাজনৈতিক প্রভাব, দলবাজি, এবং স্বচ্ছতার অভাবের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর মতে, ব্যক্তিগত মতামতের কারণে একজন নবীন কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া যেখানে দ্রুত হয়, সেখানে অনেক গুরুতর অপরাধ বা অন্যায় কাজের ক্ষেত্রে শাস্তি না হওয়া বা উল্টো পুরস্কৃত হওয়া উদ্বেগজনক।
গোলাম মাওলা রনি প্রশাসন এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেছেন যে, যদি সরকারি দায়িত্বশীলরা ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের জন্য এভাবে শাস্তি পান, তাহলে প্রকৃত গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ পোস্টে অনেকেই একমত পোষণ করেছেন গোলাম মাওলা রনির সঙ্গে। মন্তব্যের ঘরে প্রতিবাদ হোক দাবি তুলেছেন অনেকে। আবার অনেকেই করেছেন কঠিন ভাষায় সমালোচনা।
এর আগে শনিবার নিজের ফেসবুকে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি বলেন, ‘আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি, বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর জন্য যদি আমার চাকরি চলে যায়, সমস্যা নেই। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, এটা মীমাংসিত সত্য। রিসেট বাটন মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলা, এর মানে কি? তাহলে তো আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি আমাদের দেশে সরকার হিসেবে আছে। আমার মনে হয়েছে, আমার দায়িত্বশীল জায়গা এটাই। বলা হচ্ছে জুলাই গণহত্যা, এগুলো সবই তদন্ত সাপেক্ষে, মীমাংসিত সত্য না। এখন পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি তো।’
Leave a Reply