লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আবু সাঈদ, যিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, পুলিশের গুলিতে নিহত হন এবং তাকে আন্দোলনের একজন শহীদ হিসেবে দেখা হচ্ছিল। ঊর্মির এই মন্তব্য বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই ধরনের মন্তব্য আন্দোলনকারীদের মানসিকতায় আঘাত করে এবং সামাজিকভাবে বিভেদ উসকে দিতে পারে। বিশেষ করে যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে এবং মানুষের আবেগ উথলে উঠেছে, তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য বিতর্কিত হয়ে ওঠে। ইতোমধ্যে এই মন্তব্যের কারণে ঊর্মিকে ওএসডি করে বদলি করা হয়েছে, যা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার একটি উদাহরণ।
এ ধরনের ঘটনা দায়িত্বশীলতার প্রশ্নও তুলে ধরে, বিশেষত যেসব কর্মকর্তারা জনগণের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে তাদের ক্ষেত্রে।
তিনি আরও লেখেন, আর এই আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসীর জন্য দেশের অথর্ব অতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদে কেটে বুক ভাসিয়েছে। তখন যাকেই বলার চেষ্টা করেছি পুরো ঘটনা তদন্তসাপেক্ষ, সেই দশটা কথা শুনিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনে থেকে সরকারের দালাল হয়ে গিয়েছি এ কথা বুঝানোর তো বাকিই রাখনি।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি লেখেন, এই যে একটা সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো তার দায়ভার কি এই অথর্ব সমাজ নিবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুর। লালমনিরহাট থেকে এই উপদেষ্টা দলের জন্য আবার পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের বাকি সাত জেলা থেকেও গাড়ি পাঠাতে হয়েছে।
আবু সাইদের বাড়িতে যাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি আরও লেখেন, এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়িবহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেল তার তেল খরচ কে দিয়েছে? যাই হোক, ভিডিওটা দেখুন। ভালো মতো দেখুন আর মুখস্থ করুন। আর কী বলব!
Leave a Reply