দারুণ শুরুর পরেও পাহাড়সম লক্ষ্য পেল টাইগাররা!

প্রথম ম্যাচে বড় হারের ধাক্কা সামলে এদিন শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দিল্লীর ব্যাটিং উইকেটে পাওয়ারপ্লেতে ভারতকে ৪৫ রানের বেশি করতে দেননি টাইগার পেসাররা। সেই সঙ্গে নিয়েছেন তিনটি উইকেটও। তবে এরপরই শুরু হয় রিঙ্কু সিং, নিতিশ কুমার এবং হার্দিক পান্ডিয়াদের পাল্টা আক্রমণ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিং চলেছে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। আর তাতে শুরুটা ভালো করলেও পাহাড়সম লক্ষ্য পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২২২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত।

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান এবং তানজিম হাসান সাকিবের তোপের সামনে পাওয়ারপ্লেতে নিজেদের তেমন মেলে ধরতে পারেনি ভারত। ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৫ রান করে ভারত।

মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম ওভারে ১৫ রান নেয় ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারে এসেই রানের লাগাম টেনে ধরেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম ৫ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে চাপ তৈরি করেন। চাপে পড়ে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হন তিনি। তাসকিনের স্লোয়ার বল মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিষেক শর্মা।

ভারতকে দ্বিতীয় আঘাতটা দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে মাঠে নামা এই পেসার প্রথমবার বোলিংয়ে এসেই তুলে নিয়েছেন বিধ্বংসী ব্যাটার অভিষেক শর্মার উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তানজিমের ১৪৭ কিলোমিটার গতির বল তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন অভিষেক।

পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে আউট হন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সূর্য। ১০ বলে ৮ রান করেছেন বিধ্বংসী এই ব্যাটার।

পাওয়ারপ্লের পর সপ্তম ওভারটা একটু দেখেশুনে খেলেন নিতিশ কুমার এবং রিঙ্কু সিং। কিন্তু এরপরই শুরু হয় তাদের আক্রমণ। পরের তিন ওভারে এই দুই ব্যাটার মিলে নেন ৫০ রান। এর মধ্যে রিশাদ হোসেনের করা এক ওভারেই নিয়েছেন ২৪ রান। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারের শেষে ১০১ রান করে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *