চট্টগ্রামের পটিয়ায় চলমান অভিযানে পুলিশের তাড়া খেয়ে আবদুল খালেক নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা গুরুতর অসুস্থ হয়ে ৬ দিন পর মারা গেছেন। তিনি পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশি নির্যাতনের এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে স্ট্রোক করেছেন।
পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাউন্সিলর আবদুল খালেককে গত ৪ অক্টোবর ২টায় পুলিশ গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে যান। পটিয়া থানার ২০-৩০ জনের পুলিশের একটি টিম আওয়ামী লীগ নেতা খালেকের বাড়ি ঘিরে ফেলে। ঘরের পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করে মারধর করলে তিনি অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। জ্ঞান হওয়ার পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে পরিবারের লোকজন প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করেন। ওখানে চিকিৎসার কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শনিবার) সকালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে মারা গেছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল খালেকের স্ত্রী হাসিনা আকতার অভিযোগ করেছেন, পুলিশ রাত ২টার দিকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। দরজা খুলতে বিলম্ব হওয়ায় পুলিশ দরজায় একাধিক লাথিও মারেন। পরে দরজা খুলে দেন। এসময় পিছনের দরজা দিয়ে আবদুল খালেক বের হলে পুলিশ দৌড়ে গিয়ে আটক করে বেদমভাবে প্রহার করেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পটিয়া থানার ওসি জায়েদ নূর জানান, আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর ও পুলিশ দিয়ে তাড়া করার বিষয়টি সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নেই। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন উনারা এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
Leave a Reply