‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’ নামের কারণে ভাইরাল হওয়ায় বিক্রি বাড়ছে একটি হোটেলে। দূরদূরান্ত থেকে এমন নামের কারণে ভোক্তারা আসছেন খাবার কিনতে। পথচারীরাও আকর্ষণীয় নামের ফলে উঁকি মেরে দেখেন হোটেলটি কেমন।
এক সময়ে দেশের প্রভাবশালী পুলিশ অফিসার ছিলো হারুন অর রশিদ। দেশের এ বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাঙ্গাত্মক নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখায় ঝালকাঠির ভাতের হোটেলটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের এই হোটেলে প্রতিদিন দূরদুরান্ত থেকে কৌতূহলী এবং ভোজনরসিকরা ছুটে আসেন।
হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে খেতে আসা ভোক্তারা বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সেবা-গ্রহীতাদের ভাত খাইয়ে ছবি তোলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচিত হয়েছিলেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা হারুন। তবে তার নাম ব্যাঙ্গাত্ম করে রাখা এই হোটেলে যারা খেয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে দু’টি। আলোচনায় আসা ও ভালো খাবারো স্বাদ নেওয়া।
হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কাঠারিয়া থেকে খাবার খেতে আসা রাজিব হোসেন বলেন, বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের উপরে এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে দুপুরের খাবার খেতে আসা। এই হোটেলটি ঝালকাঠি জেলার পাশের জেলাগুলোতে নামের কারণে পরিচিতি পেয়েছে। কয়েকদিন ধরেই আসব আসব করেও আসা হয় না। আজকে সময় করেই দুপুরের খাবার খেতে এখানে চলে এসেছি।
তিনি বলেন, আনকমন নামের পাশাপাশি এই হোটেলের খাবারের মানও ভালো। দুপুরের খাবারে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। দামেও অন্যান্য হোটেলের চেয়ে অনেক সস্তা।
হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলের স্বত্বাধিকারী ইমন চৌধুরী বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। আমার একটি হার্ডওয়ারের ব্যবসাও ছিল। দেশের পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় আমি বড় ধরনের একটি লোকসান করে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। এরপর এলাকার মুরুব্বি ও ভাইদের সাথে আলোচনা করে হোটেল ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে সকলের সিদ্ধান্তে এ হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নামের কারণে হোটেলে শুরু থেকেই বেচা বিক্রি অনেক ভালো। আমাদের পাশের জেলা, উপজেলাগুলো থেকে লোকজন এখানে খাবার খেতে আসেন। ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’ নামের কারণে আমার ব্যবসা খুব ভাল হচ্ছে।
Leave a Reply