বর্ষায় হুটহাট করেই বৃষ্টি হয়। ফলে অনেক সময় ইচ্ছা না থাকার পরও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। কখনো কখনো খোলা মাঠে কাজ করতে গিয়েও বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। যা অনেক সময় বিরক্তিকর মনে হয়। তবে যেমনটাই মনে হোক না কেন, বাধ্য হয়েই ভিজতে হয়। আর বৃষ্টিতে ভিজলে অনেকেই পরবর্তীতে আবার গোসল করেন।
বৃষ্টিতে ভেজার পর আবার গোসল করা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। কারও মতে বৃষ্টিতে ভেজার পর আর গোসলের প্রয়োজন নেই। আবার কারও দাবি গোসল না করলে ঠান্ডা, সর্দি কিংবা জ্বর হতে পারে। কিন্তু আসলেই কি তাই? সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিনের চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বৃষ্টিতে ভেজার পর কি গোসল করা উচিত: বাড়ির বড়রা ছোটদের অবশ্য বৃষ্টিতে ভেজার পর গোসল করার কথা বলে থাকেন। এর পেছনে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি রয়েছে। তবে আমাদের পরিবেশে থাকা বাতাসে ধুলা-কণা ও রাসায়নিক থাকে প্রচুর। এ কারণে বৃষ্টি হলে পানির ফোঁটার সঙ্গে সেসব নিচে নেমে আসে। এ জন্য বৃষ্টিতে ভেজার পর শুধু পানি নয়, পাশাপাশি সব উপাদানই ত্বকে গিয়ে লাগে। পরিবেশের দূষিত ধুলা-কণা ও রাসায়নিক শরীরের ক্ষতি করে। তাই বৃষ্টিতে ভেজার পর শিগগিরিই গোসলের পরামর্শ দেয়া হয়।
ঠান্ডা-গরম পানিতে গোসল: এমন অনেকেই আছেন যারা বৃষ্টিতে ভেজার পর ঠান্ডা লাগে। সাধারণত অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে ঠান্ডা লেগে থাকে। এ থেকে হাঁচি ও কাশিও হয়ে থাকে। আবার অনেকের নাক দিয়ে পানি গড়ায়। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে, তারা বৃষ্টিতে ভেজার পর ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। বরং ঠান্ডা ও গরম পানি মিশিয়ে গোসল করুন। এতে সমস্যা থাকবে না। এরপরও হাঁচি-কাশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
গরম খাবার খাওয়া: গোসলের পর ফ্যানের (পাখা) নিচে বসা ঠিক নয়। আবার এসি রুমেও যাওয়া যাবে না। এতে সর্দি-কাশি হতে পারে। তবে গোসলের পরপর এক গ্লাস গরম দুধ পান করতে পারেন। আবার দুধে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তারা চা কিংবা কফিতে ভরসা রাখতে পারেন। এসব পানীয় আপনার শরীরকে গরম করবে। একইসঙ্গে সর্দি, কাশির আশঙ্কা দূর হবে।
জ্বর হলে সাবধান: বৃষ্টিতে ভেজার পর জ্বর হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেই জ্বর যদি একদিনের বেশি থাকে তাহলে শরীরের তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়ে হাত-পা ব্যথা হলে সাবধান হতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করতে হবে।
Leave a Reply