পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে আমদানিকারক!

প্রায় পাঁচ মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। সেই পেঁয়াজ নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক। এদিকে হিলি বাজারে দেশি পেঁয়াজ পাইকারি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর তা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম বলেন, আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৬৪ পাইকারি কিনে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু ক্রেতারা একই দামে ভারতীয় পেঁয়াজ কিনবেন না। তাই আমরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি।

পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার জানান, সম্প্রতি বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা গত মঙ্গলবার ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। এর সঙ্গে আছে বাংলাদেশ সরকারের শুল্ক, পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ। সব মিলিয়ে ৬০ টাকা কেজি পড়ে গেছে।

প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি না করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। তাই আমদানির ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস করে গুদামজাত করে রেখেছি। পচনশীল পণ্য হওয়ায় নিয়মিত ফ্যানের বাতাস দিতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আর দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে গত দুই দিনেও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।

পাঁচ মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে মেসার্স আরএসবি এন্টারপ্রাইজ। হিলি স্থলবন্দরের ২০ জন আমদানিকারক ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। যাঁরা আইপি (আমদানির অনুমতি) পেয়েছেন তারা এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *