লাইফ সাপোর্টে থাকা স্বামীর সবশেষ অবস্থা জানালেন তনি!

লাইফ সাপোর্টে আছেন দেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন। বর্তমানে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

হাসপাতাল থেকেই এক সাক্ষাৎকারে তনি জানিয়েছেন, বর্তমানে আমার স্বামীর ৯০ পারসেন্ট ব্রেন ড্যামেজ হয়ে গেছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, এখান থেকে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ কোনো মিরাকেল ঘটাবেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসপাতালের আইসিউতে স্বামীর শুয়ে থাকার একটি ছবি প্রকাশ করে তনি লিখেছেন, আমার স্বামী বলতেন, ‘তুমি তো একবার ঘুমালে আল্লাহর ওয়াস্তে আর খবর নাই’। অথচ এখন ঘুম মানে একটা আতঙ্কের নাম! মনে হয়, এই বুঝি আইসিইউ থেকে কল আসলো! এখন আমি রাত দিন জেগে থাকি তুমি জেগে উঠবা এই আশায়।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনির স্বামীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই আবার দাবি করেছেন, ব্যবসার প্রচারণা বৃদ্ধির জন্যই স্বামীর অসুস্থতা নিয়ে ‘নাটক’ করছেন তনি।

বিষয়গুলো নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভোরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন আলোচিত এই নারী উদ্যোক্তা। যেখানে তনি বলেছেন, কিছু ভিউ ব্যাবসায়ীর অত্যাচারে আমি বিরক্ত এবং মর্মাহত।

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, এখন ব্যাংককে সকাল ৬ টা বাজে। আমি আইসিইউ রুমের সামনে বসে পোস্টটা লিখছি, দয়াকরে আমি এবং আমার স্বামীকে নিয়ে কোনো প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করবেন না।

কয়েকটি শিরোনাম তুলে ধরে তনি লেখেন, ‘তনির বুড়া স্বামী মারা গেছে’, ‘টাকার জন্য চিকিৎসা হচ্ছে না তনির স্বামীর’, ‘ব্যাবসায়ীক পলিসি’, ‘মৃত্যুর খবর গোপন করছে’— ভিউয়ের আশায় এসব মনগড়া খবর ছড়াবেন না।

উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে দেশের বাইরে নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তনি বলেন, বাংলাদেশে তার চিকিৎসা আশানুরূপ ছিল না দেখে অনেক রিস্ক নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আল্লার রহমতে এখানে নিয়ে আসতে পেরেছি। আমার স্বামী লাইফ সাপোর্টে, তাকে সুস্থ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। সবকিছু আল্লাহতায়ালার হাতে, তিনি চাইলে সব সম্ভব, ডাক্তার উছিলা মাত্র।

তনি তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘আমি একজন আত্মবিশ্বাসী নারী। আল্লার উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমার। যুদ্ধ করে আমি অভ্যস্ত। তবে এটা জীবনের সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধ। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ চাইলে সবকিছু সম্ভব।’

এর আগে এক স্ট্যাটাসে তনি জানান, ‘জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি, আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সবকিছু অনিশ্চিত জেনেও আল্লাহর বিশেষ কোনো রহমতের আশায় অনেক কষ্ট করে আজকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আনিয়ে তারপর ব্যাংকক নিয়ে আসছি। আমার জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা। সবাই দোয়া করবেন আমার ছেলের জন্য হলেও আল্লাহ যেন তাকে বাঁচিয়ে রাখে।’

প্রসঙ্গত, শাহাদাৎ হোসাইন তনির দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। এরপর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। প্রথমে পরিবার মেনে না নিলেও পরবর্তীতে সব ঠিক করে নেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *