নবজাতকের যত্নে খেয়াল রাখুন কিছু বিষয়!

কোমলমতি নবজাতক শিশুরা সবচেয়ে নাজুক থাকে। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়া জরুরি। পাশাপাশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন নবজাতকের যত্নে বিশেষ কিছু বিষয়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লাগা সমস্যা থেকে শুরু করে শিশুর চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, কান চুলকানো, ডায়রিয়া, বমিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় বিচলিত না হয়ে শিশুর সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। যেমন-

১. শিশুর ঘরে পর্যাপ্ত আলো চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. প্রতিদিনই সূর্যে ২০ মিনিট রেখে দেয়া হালকা কুসুম গরম পানিতে শিশুকে গোসল করাতে হবে।
৩. শিশুকে স্পর্শ করার সময় হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর ভালো করে শিশুর চুল ও ত্বক মুছে দিতে হবে।
৪. গোসলের পর শিশুকে নিয়মিত ভেষজ তেল মালিশ বা ম্যাসাজ করতে হবে।

৫. শিশুর প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ খেতে দিতে হবে।
৬. নিয়মিত কান, চোখ, নাক, নখ, জিহ্বা পরিষ্কার আছে কি না দেখে নিতে হবে।
৭. শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরাতে হবে। শিশুর পোশাক যেন অবশ্যই সুতির ও ঢিলেঢালা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৮. সকালের ভিটামিন ডি যুক্ত রোদে শিশুকে নিয়মিত রাখা ভালো।

৯. খাবারের পর পেটে যেন গ্যাসের সমস্যা না হয় তাই প্রতিবার খাওয়ানোর পর শিশুর ঢেঁকুর তোলানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য শিশুর খাওয়া শেষ হলে ধীরে ধীরে শিশুকে বুকের কাছে নিতে হবে। শিশুর চিবুক আপনার কাঁধে এলিয়ে দিন। এবার এক হাত দিয়ে আলতো হাতে শিশুর পিঠে টোকা দিন যতক্ষণ না পর্যন্ত শিশু ঢেঁকুর তুলছে।
১০. শিশুর দীর্ঘ সময় ঘুম, নিশ্চিত করতে হবে। কেননা নবজাতক শিশু দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়।
১১. শিশুর প্রস্রাবের পর খেয়াল রাখতে হবে, তার পোশাক কিংবা ঘুমানোর বিছানা যেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও না ভেজা থাকে।
প্রস্রাবের কারণে শিশুর পোশাক কিংবা ঘুমানোর বিছানা ভেজা থাকলে তা ত্বকের নানা সমস্যার পাশাপাশি শিশুর ঠান্ডাজনিত রোগ ডেকে আনে।
সঠিক যত্নের পরও শিশুর কোনো সমস্যা দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। দ্রুত শিশুর চিকিৎসা শুরু করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *