জাতীয় নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, আগামী বছরের (২০২৫ সালের) মধ্যে নির্বাচন আয়োজিত হতে পারে। এই সংবাদটি একটি টেলিভিশন টকশোতে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। তবে ড. আসিফ নজরুল স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সংবাদে উল্লিখিত তথ্য পুরোপুরি সঠিক নয় এবং তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কেবল তার প্রাথমিক অনুমান ছিল।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার ক্ষমতা কেবল প্রধান উপদেষ্টার রয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয়টি পরিষ্কার করেন।
‘নির্বাচন নিয়ে একটি ব্যাখা’ শিরোনামে ওই পোস্টে ড. আসিফ নজরুল লিখেন, ‘সম্প্রতি একটি টিভি আলোচনায় আমি বলেছি নির্বাচন হয়তো আগামী বছরের মধ্যে সম্ভব হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে। সেখানে এসব ফ্যাক্টর পুরোপুরি ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু আমাদের সরকারের কথা থেকে সবাই বুঝবেন যে নির্বাচনের জন্য সংস্কার ও রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলা হয়। এগুলোই সেই ফ্যাক্টর।’
তিনি আরও লিখেন, ‘সংস্কারের কথা আমিও অনুষ্ঠানে বলেছি। আরও কিছু ফ্যাক্টর আমি অনুষ্ঠানটিতে ব্যাখা করেছি। যেমন- সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ইত্যাদি। এসব ফ্যাক্টর ঠিক থাকলে নির্বাচন হয়তো হতে পারে আগামী বছর। বলেছি এটাও আমার প্রাথমিক অনুমান।’
এই শর্তভিত্তিক ধারণা ও অনুমানকে কিছু গণমাধ্যম নির্বাচনের ঘোষণা হিসেবে দেখাচ্ছেন মন্তব্য করে আইন উপদেষ্টা লিখেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এটা সঠিক নয়। নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলিসি ডিসিশন। এর সময় সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঠিক হবে। তিনিই একমাত্র এটা ঘোষণার এখতিয়ার রাখেন।’
Leave a Reply