১১ মিনিটে মেসির হ্যাটট্রিক, ইতিহাস গড়লো মায়ামি!

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ঠিক চারদিনের মাথায় দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করলেন, এবার তার সুফল পেল ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইতিহাস গড়ার দিনে মেসি-লুইস সুয়ারেজরা প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ড রেভোল্যুশনকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ঘরের মাঠ ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। যেখানে মেন ইন পিঙ্কদের হয়ে মেসি হ্যাটট্রিক এবং সাবেক উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ দুটি গোল করেছেন। নিজের সর্বশেষ হ্যাটট্রিকে মেসির আর্জেন্টিনা ৬-০ গোলে হারায় বলিভিয়াকে। কাকতালীয়ভাবে তার আরেকটি হ্যাটট্রিকের দিনে মায়ামিও ৬-২ গোলে জয় পেয়েছে।

আর এই জয়ে এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড গড়েছে জেরার্দো টাটা মার্টিনোর দলটি। ৩৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৭৪, যেখানে রয়েছে ২২টি জয় ও ৮টি ড্রয়ের সঙ্গে ৪ ম্যাচে হার। এর আগে এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ডটি ছিল এই ম্যাচের প্রতিপক্ষ রেভোল্যুশনের। তাদের ২০২১ সালের সেই রেকর্ড ভেঙে এমএলএসে নতুন ইতিহাস গড়লেন মেসি-সুয়ারেজরা।

যদিও ম্যাচের শুরুতে দাপট ছিল নিউ ইংল্যান্ডের। দ্বিগুণ লিড নিয়ে তারা একপ্রকার স্বাগতিক মায়ামিকে চেপে ধরেছিল। যার শুরুটা হয় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই, সফরকারীদের আর্জেন্টাইন উইঙ্গার লুকা লাঙ্গোনির পা থেকে আসে প্রথম লিড। এরপর ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডিলান বোরেরো। মায়ামি গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডারের খুব কাছ থেকে নেওয়া শটে তিনি ব্যর্থ করেছেন।

এরপর অবশ্য সফরকারীদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি সুয়ারেজ। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে বিরতির আগেই তিনি মায়ামিকে সমতায় ফেরান। ৪০ ও ৪৩ মিনিটে দুই গোল করেন এই উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। ফলে বিরতির আগে স্বস্তি ফেরে মায়ামি শিবিরে। এরপর ৫৮তম মিনিটে তাদের লিড এনে দেন বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি। ৩-২ গোলে এগিয়ে থাকা মায়ামি তাদের প্রধান তারকা মেসিকে মাঠে নামায় ৫৫তম মিনিটে। অর্থাৎ তখনও আর্জেন্টাইন মহাতারকার ম্যাজিক দেখানো বাকি। যে অপেক্ষা তিনি পূর্ণ করলেন ষোলোকলায়।

মায়ামির শেষ তিন গোলই আসে অধিনায়কের পা থেকে। ৭৮, ৮১ ও ৮৯ মিনিটের লাগাতার ঝড়ে মেসি প্রতিপক্ষকে রীতিমতো এলোমেলো করে দেন। প্রথম গোলটি করেন ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া কোণাকুণি শটে। এরপর বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পা গলে এবং শেষটা সুয়ারেজের দারুণ ক্রসকে ডান পায়ের এক স্পর্শে ফিনিশিং দেন মেসি। আর তাতেই ৬-২ গোলের বড় জয় নিশ্চিত হয় মায়ামির।

আগের ম্যাচ জিতেই মৌসুমের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল হিসেবে প্রথম এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছিল মায়ামি। আজ সেটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক উদযাপনে মাতেন মেসি-আলবা-সুয়ারেজরা। এটি ২০২০ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর তাদের প্রথম এমএলএস শিরোপা। আজকের ইতিহাসগড়া জয়ের পর মায়ামি প্লে-অফের সব ম্যাচই হোম ফিল্ড অ্যাডভান্টেজে খেলবে। শুক্রবার তারা প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিএফ মন্ট্রিল এবং আটালান্টা ইউনাইটেডের মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *