মাস শেষে হাতে টাকা থাকে না? এই সমস্যার সমাধানে করণীয়!

মাস শেষে হাত ফাঁকা, এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অনেক সময় এর থেকে মুক্তির উপায় বের করা ভীষণ কষ্টসাধ্য।

উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সঞ্চয় করা প্রয়োজন। সঞ্চয় মানেই ভবিষ্যতের ভাবনা। বিন্দু বিন্দু করেই সিন্ধু তৈরি হয়। তাই অল্প অল্প করে সঞ্চয় করার অভ্যাস তৈরি করুন।

যারা চাকরি করছেন তাদের জন্য সঞ্চয় করা সহজ। এছাড়া যারা ব্যবসা করেন, ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদেরও সঞ্চয় করা উচিত। সঞ্চয় আসলে সবার জন্যই। এটি সবাইকে নিরাপদ করতে পারে। তাই সঞ্চয়ের জন্য কখনই ‘করি-করছি-করব’ ভেবে সময় নষ্ট করবেন না। কম করে টাকা খরচ করলেই শুধু টাকা বাড়ে না। টাকা বাড়ার জন্য সঠিকভাবে সঞ্চয় করতে হয়। খুব বেশি নয়, সাধারণ কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই সব খরচ সামলে মাসের শেষে সঞ্চয় করতে পারবেন।

১. কোন খাতে খরচ কত: প্রতি মাসে কোথায় কত খরচ হয়, তার একটা তালিকা আগে থেকে তৈরি করে রাখুন। এমন কিছু খরচ আছে, যেগুলো প্রতি মাসে বাড়ে না। সেগুলো আগে আলাদা করে রাখুন।

২. সাধারণ বাজেট করে রাখা: মাসের শুরুতেই তৈরি করুন বাজেট। কোন খাতে কত খরচ করবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখলে বাড়তি খরচ থেকে বিরত করা যায়। বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিলের জন্য টাকা আলাদা করে রাখুন। ব্যক্তিগত খরচের জন্যও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। বাকি টাকা কোথাও সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করার কথা ভাবুন।

৩. বিপদে ভরসা: বিপদ তো আগে থেকে জানান দিয়ে আসে না। তাই নিজের উপার্জন থেকে অল্প হলেও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন। যাতে বিপদ-আপদে কাজে লাগে। তবে ভীষণ প্রয়োজন না পড়লে কোনও ভাবেই সেই টাকায় হাত দেওয়া যাবে না।

৪. ধার নয়: ‘বাকি রাখা খাজনা, মোটে ভালো কাজ না’ এ কথা তো প্রায় সবাই জানেন। তাই নিজের শখ-শৌখিনতা বজায় রাখার আগে ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোথাও ধার থাকলে তা মাসের শুরুতেই মিটিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন।

৫. সঞ্চয়: উপার্জনের থেকে কতটা টাকা সঞ্চয় করতে চান, তা আগেভাগে বুঝে নিন। এরপর প্রথমেই আপনার প্ল্যানমাফিক সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত টাকা আলাদা করে রাখুন। দেখবেন যেন সেই টাকায় হাত না দিতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *