রাষ্ট্রপতির কাছে কীভাবে পদত্যাগ করেন হাসিনা, নতুন তথ্য দিলেন আসিফ!

শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে দুই মাসের ব্যবধানে দ্বিমুখী বক্তব্য দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। তার এমন দ্বিচারিতামূলক আচরণে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজালের। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও। তবে সোমবার এ প্রসঙ্গে নতুন তথ্য সামনে এনেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। মৌখিকভাবে এ পদত্যাগ করা হয়।

সোমবার (২১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় খুনি হাসিনা।

এদিন সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন। তার এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সম্প্রতি মানবজমিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার। উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ উনি নিজেই গত ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তা গ্রহণ করেছেন।

‘এরপর উনার কাছ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জানতে চাওয়া হয়, এই পরিস্থিতিতে করণীয় কি আছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেশমূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে জানতে চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের যে প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারকরা মিলে একটা মতামত প্রদান করেন। সেই মতামতের প্রথম লাইনটা হচ্ছে দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। সেখানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারকের স্বাক্ষর আছে।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, এই যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে একটি নোট মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি এই অভিমতটা দেখেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। এরপর তিনি নিজে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন।

অন্য সমন্বয়করা কী বলছেন?

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আর রাজনীতি করার জন্য দেশে ফিরতে পারবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এক ভিডিও বার্তায় হাসনাত বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শক্তির উত্থান ও পুনর্বাসন ঠেকাতে দলমত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *