এইমাত্র পাওয়াঃ জানা গেল ঘূর্ণিঝড় ডানার সর্বশেষ অবস্থা!

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য ঝুঁকি বাড়ছে। দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে। পূর্বে দেওয়া ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে নতুন এ সতর্কতা জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর অবস্থান এখন চট্টগ্রাম থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৬০০ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৬৪০ কিলোমিটার এবং পায়রা থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দূরে। সাগর উত্তাল রয়েছে, এবং ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাব্য আছড়ে পড়ার স্থান ভারতের ওডিশা উপকূল, বিশেষ করে ধামারা বন্দর এলাকা। এর প্রভাব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষত খুলনা ও বরিশালের ওপর পড়তে পারে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত কোথায় এবং কতটা তীব্র হবে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, তবে বাংলাদেশের উপকূলের ডান দিকে অবস্থানের কারণে প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতে, যেমন ২০২২ সালের ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলকে ডান দিক থেকে আঘাত করেছিল, এ ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রভাবের শঙ্কা রয়েছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি ওডিশার প্যারাদ্বীপ থেকে ৫৩০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত বা শুক্রবার ভোরে এটি ওডিশার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। আঘাতের সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা আরও সতর্ক করেছেন যে, ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে সময় নিলে এর প্রভাবও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বাতাসের গতি এবং ঘূর্ণিঝড়ের গতির ওপর ভিত্তি করে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের শক্তি এবং প্রভাব নির্ভর করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *