২৮ বছরের সংসার ও তিন সন্তান ফেলে পরকিয়া প্রেমিককে বিয়ে!

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিলিং অফিসার মনিকা সমাদ্দার (৪৭) তিন সন্তানের জননী। ২৮ বছরের স্বামীর সংসার ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পরকিয়া প্রেমিক মশিউর রহমানের (৪৫) সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন মনিকা। পূর্বের স্বামীর নগদ টাকা, গহনা, মূল্যবান আসবাবপত্র হাতিয়ে নিয়েছেন।

মশিউর রহমান ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পেট মানিকা গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে। মশিউর পল্লী বিদ্যুৎ কালিশুরী সাব-জোনাল অফিসে এজিএম (ওএন্ড‌এম) কর্মরত। আর মনিকা সমাদ্দার বর্তমান মুসলিম নাম মনিকা রহমান পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চিকনি কান্দি গ্রামের সুবোধ সমাদ্দারের মেয়ে। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার পশ্চিম বেতাগী গ্রামের হিরন্ময় সমাদ্দারের সাবেক স্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বিলিং সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

এ বিষয়ে মনিকার সাবেক স্বামী হিরন্ময় সমাদ্দার বলেন, ‘তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। একে অপরের মধ্যে ভালোবাসার কমতি ছিল না। হঠাৎ আমার সঙ্গে কেন এরকম করল মনিকা। চলতি বছরের ১২ জুন সে আমাকে সেপারেশনের কাগজ পাঠিয়েছে। আমি চাই আমার স্ত্রী আমার সন্তানদের কাছে ফিরে আসুক। তার নামে একটি দোতলা বাড়ি করে দিয়েছি সেখানে সন্তানদের নিয়ে থাকুক। এখন পর্যন্ত মনিকার পাঠানো সেপারেশনের কাগজ আমি রিসিভ করিনি। আমাদের ভেতরে এখন পর্যন্ত ডিভোর্স হয়নি।’

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পশ্চিম বেতাগী গ্রামের যতীন্দ্রনাথ সমাদ্দারের ছেলে হিরন্ময় সমাদ্দারকে ভালোবেসে ৯৬ সালে সনাতনী শাস্ত্রীয় রিতিতে বিয়ে করেন পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চিকনি কান্দি গ্রামের সুবোধ সমাদ্দারের মেয়ে মনিকা সমাদ্দার।

সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পশ্চিম বেতাগী গ্রামের হিরন্ময় সমাদ্দারের স্ত্রী মনিকা সমাদ্দার গত মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ২৮ বছরের সংসার জীবন এবং ৩ সন্তান রেখে পরকীয়া প্রেমিক মশিউর রহমানের সাথে মোকাম নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ করেছেন। মনিকার তিন সন্তানদের মধ্যে বড় মেয়ে স্বামীর বাড়িতে রয়েছে। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের মেয়ে ও সাড়ে ৪ বছরের ছেলেকে রেখে যায় স্বামী হিরন্ময় সমাদ্দারের কাছে।

মনিকা সমাদ্দারের সহকর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়, এক‌ই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরির সুবাধে এজিএম মসিউর রহমানের সঙ্গে মনিকা সমাদ্দারের পরিচয়। সেখান থেকে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাদের এই পরকিয়া প্রেম। এখন তারা দুইজনে বিবাহ করে নতুন সংসার শুরু করেছে।

এ বিষয়ে মনিকা সমাদ্দারের (বর্তমান নাম মনিকা রহমান) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশি নাগরিক। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার আছে। এছাড়াও প্রাপ্ত বয়স্ক নারী, আমি ভালো-মন্দ বুঝি। আমার মশিউর রহমানকে ভালো লেগেছে। তাই আমি এপিড এপিড করে স্বইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তাকে বিয়ে করেছি।’

নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করি। আমার নিজের কিছু থাকতে পারেনা?’

মশিউর রহমানের কাছে মনিকাকে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘মনিকার অফিসে গিয়ে বিস্তারিত শুনেন নাই। আমি আপনাকে একটা পরিচয় দেই, আমিও কিন্তু মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। দীর্ঘ ৩০ বছর আগে ঢাকা প্রেস ক্লাবে প্রথম বেলা খেয়ে তার পরে কর্মজীবন শুরু করেছি ওখান থেকে এই ডিপার্টমেন্টে আসছি। আমাদের বিয়ের বিষয়ে আমি এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *