এই দেশে বাবা-মায়ের জন্য কিছু করে পোস্ট দিয়েন না: রাফসান

বাবা-মাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন ফুড ব্লগার ও ইউটিউবার ইফতেখার রাফসান ওরফে রাফসান দ্যা ছোটভাই। প্রায় ৪ বছর আগের পরিকল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পেরে নিজের ফ্যানবেজকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। তবে এ ঘটনার পর অনুসারীদের প্রতি দিলেন ভিন্ন এক বার্তা। পরামর্শ দিলেন বাবা-মায়ের জন্য কিছু করে ফেসবুকে পোস্ট না করতে।

ফুড ব্লগার ও ইউটিউবার ইফতেখার রাফসানকে নিয়ে আলোচনা শুরুর পর সামনে আসে তার বাবা-মায়ের কোম্পানির নামে নেওয়া ঋণের তথ্য। বাবা-মায়ের সে ঋণ শোধ না দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনায় তার সমালোচনা শুরু করেন ব্যবহারকারীরা। অবশেষে ঋণের টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন এ ইউটিউবার। দিয়েছেন সমালোচনার জবাব।

ইফতেখার রাফসানের দাবি, ঋণের টাকা ও বন্ধকী জমি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে ঝামেলা চলায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় এখনো ঋণ শোধ করা যায়নি। একইসঙ্গে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন এ ইউটিউবার। দিয়েছেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি।

এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন রাফসান দাবি করেন, উপহার দেওয়া গাড়িটি দাম ২ কোটির আশপাশেও না। তবে বাবা-মায়ের কোম্পানির লোন নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেননি তিনি।

রাফসান জানান, ঋণের বিপরীতে বন্ধক দেওয়া জমিটি নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে কিছু ঝামেলা চলছে তার পরিবারের। তিনি বলেন, লোনের বিপরীতে বন্ধক দেওয়া জমিটির দাম বেশি হলেও ব্যাংক তা নিয়ে নিতে চাচ্ছে। তাই তার পরিবার আদালতের দারস্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আদালত বিষয়টি স্থগিত রেখেছে বলে দাবি এ ইউটিউবারের। আদালতের সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় ঋণ শোধ দেওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় সমালোচকদের একহাত নেন রাফসান। গল্পের একপাশ শুনে তাকে মূল্যায়ন করার অধিকার কারও নেই বলেও মন্তব্য করেন।

রাফসান আরও দাবি করেন, টাকা মেরে দেওয়ার জন্য ঋণ নেওয়া হয়নি, ব্যবসা খারাপ চলায় ঋণ শোধ দেওয়া যায়নি। তবে আদালত সিদ্ধান্ত দিলে ঋণের টাকা শোধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান। এ বিষয়টি নিয়ে সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন এ ইউটিউবার। শেষে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এই দেশে আপনি যদি আপনার বাবা-মায়ের জন্য কিছু করতে চান সেটা পোস্ট দিয়েন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *