রূপচর্চায় টক দইয়ের ব্যবহার!

ত্বকের যত্নে অনেকেই প্রসাধনীর পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্য নেন। এসব উপাদানের মধ্যে টক দই অন্যতম। টক দই শরীরের জন্য খুব উপকারী। রোদের মধ্যে বেরালেই সান ট্যান থেকে শুরু করে মুখে ব্রণ, জ্বালা, রুক্ষতা, অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব ইত্যাদি নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। গরমে স্বস্তি পেতে টক দই অনেকেই খেয়ে থাকেন। এই টক দই দিয়েই করা যেতে পারে রূপচর্চা।

টক দইতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন। মুখে দই মাখলে আপনি খুব সহজেই উজ্জ্বল, মসৃণ ত্বক পেতে পারেন। দই ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই ভালো। এছাড়াও মুখের ব্রণ, রুক্ষতা, অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব ইত্যাদি সমস্যা থেকেও রেহাই পেতে পারেন। রইলো দইয়ের কয়েকটি ফেস প্যাক-

ক্লিনজার: এক কাপ টক দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এটি খুব ভালো ক্লিনজারের কাজ করে। এছাড়াও আধ কাপ দইয়ে আধ চা চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখ, কপাল ও গলায় লাগিয়ে নিন। ভাল করে ঘষে ২ থেকে ৩ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন আপনার ত্বক অনেক বেশি পরিষ্কার দেখাবে।

টোনার: খুব বেশি তৈলাক্ত হলে, দইয়ের টোনার ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এ বার ভালো করে মিশিয়ে তুলো দিয়ে সারা মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। দইয়ের ল্যাক্টিক অ্যাসিড ত্বকের কালচে দাগ ছোপ দূর করে। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে।

ময়েশ্চারাইজার: দইকে ময়েশ্চারাইজারের মতো ব্যবহার করতে পারেন। একটি পাত্রে টক দই ফেটিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে মধু, অ্যালোভেরা বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণ অল্প অল্প করে ত্বকে লাগান।

ফেসপ্যাক: এক চামচ দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ সারা মুখে ভালো করে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিন। নরম তোয়ালে নিয়ে আলতো করে মুখ মুছবেন।

স্ক্রাব: ওট্‌মিল গুঁড়ো করে নিয়ে তার সঙ্গে দই মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ খুব ভালো প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। ত্বকের মৃত কোষ তুলে দেবে সহজেই। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখাবে।

সবার ত্বকের ধরন এক রকম নয়। তাই প্রতিবেদনে যেসব ফেইস প্যাকের কথা বলা হয়েছে, তা আপনার ত্বকের উপযোগী কি না নিশ্চিত হয়ে নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *