মৌসুমি হামিদঃ ‘অনুরোধ, আমাদের যেন কখনো যে লাউ সেই কদু মনে না হয়’

নিয়মিত নাটক, ওটিটি কনটেন্ট ও সিনেমায় অভিনয় করছেন মৌসুমী হামিদ। তবে এসবের তুলনায় মিউজিক ভিডিওর সংখ্যা হাতেগোনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের ‘আগুন পানি’ শিরোনামের গানের ভিডিওতে দেখা গেছে মৌসুমি হামিদকে। ছয় বছর পর আবার মিউজিক ভিডিওর জন্য ক্যামেরা সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

বিশ্ব স্তন ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে গত রবিবার প্রকাশিত গানে দেখা মিলল তার। পাশাপাশি তার অভিনীত নতুন একটি সিনেমার সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে আজ। সেসব নিয়ে কথা বলেছেন ।
ছয় বছর পর মিউজিক ভিডিওর মডেল হলেন।

বিশেষ কোনো কারণ আছে?
কিছু কারণ তো আছেই। ‘জীবনের গল্প’ শিরোনামের গানটির শিল্পী তাসনোভা তাবাসসুম অতশী আমাদের খুব কাছের ছোট বোন। আমরা একসঙ্গে নানা জায়গা ভ্রমণ করি। তো ভ্রমণে গিয়েই গানটা তৈরি।

গানটা ওর কণ্ঠে শোনার পর আমিই আগ্রহ নিয়ে বলি এই গানটার মডেল হতে চাই। ও গানটাও দারুণ গেয়েছে। এর আগে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ করলেও এটি তার গাওয়া প্রকাশিত প্রথম গান। গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন উদয়ন রাজীব, সংগীত আয়োজন করেছেন অটমনাল মুন। ভিডিও নির্মাণ করেছেন অতশী নিজেই।

‘অতশী অ্যা গোল্ডেন ফ্লাওয়ার’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাওয়া গানটি উৎসর্গ করা হয়েছে ক্যান্সারে মারা যাওয়া ও আক্রান্তদের।

কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

বেশ। হয়তো ভিউ হয়নি সেভাবে। কিন্তু গানটি একবার যিনি শুনেছেন তিনি প্রশংসা করেছেন। এটা কিন্তু আমরা ভ্রমণে গিয়েই শুটিং করেছি। আলাদা কোনো পরিকল্পনা করিনি।

ছয় বছর পর মিউজিক ভিডিওতে। বিরতির কোনো কারণ ছিল?

না, সে রকম কিছু না। আসলে মিউজিক ভিডিও বলি বা যেকোনো কনটেন্টে অভিনয় করার বিষয় বলেন, আগে তো নিজের ভালোলাগার জায়গাটা তৈরি হতে হবে। সে রকম কোনো ভালোলাগার মতো কাজের অফার আসেনি। তাই করা হয়নি।

কিছুদিন আগে বিয়ে করেছেন। সংসার কেমন চলছে?

খুব ভালো। সংসার ব্যাপারটা খুব উপভোগ করছি। আমরা দুজনই খুব ভালো আছি।

সংসার শুরুর পর জীবনের কী কী পরিবর্তন হলো?

অনেক কিছুর। বিশেষ করে দায়িত্ব বেড়েছে। আগে যেমন ব্যাচেলর থাকার সময় রাতে কিছু রান্না না করলেও চলত। মনে হলো কিছু একটা খেয়ে শুয়ে পড়ি। এখন আর সেই সুযোগ নেই। এখন দুজনের কথা ভাবতে হয়।

আপনার রান্না খেয়ে প্রশংসা করেছেন বর?

অনেকবার। তবে ওর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বেগুন ও কুমড়া বড়ি দিয়ে বড় মাছ রান্নার রেসিপি। এটা খেয়ে ও মুগ্ধ হয়েছে।

নিশ্চয় জানেন, আপনার অভিনীত ‘নয়া মানুষ’ ছবিটি আজ সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে।

হ্যাঁ, ছবিটির পরিচালক সোহেল রানা বয়াতি বিকেলে ফোন করে খবরটি জানিয়েছেন। আসলে এই ছবিটা করতে গিয়ে নানা ধরনের চড়াই-উতরাই গেছে আমাদের ওপর দিয়ে। বলতে পারেন, একটা যুদ্ধ গেছে। তবে সেসব মনে রাখিনি, কারণ এটা একটা দারুণ সিনেমা হয়েছে। যারা এখন অবধি দেখেছেন তারা খুব পছন্দ করেছেন। তবে হলে মুক্তি পেলে দর্শকের ভালোলাগাই আসল ফিডব্যাক।

দেশে একটা গণ-আন্দোলনের পর স্বৈরাচারী সরকার পালিয়েছে। তারপর নতুন করে সব কিছু শুরু হয়েছে। এই পরিবর্তনটা কেমন লাগছে?

আমাদের সবারই একটা পরিবর্তনের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এখন কিছু জায়গায় মনে হচ্ছে একই রকম আছে। আমি জানি না, বাকস্বাধীনতা ঠিকঠাক এসেছে কি না। আগের মতো কথা বললে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে কি না, জানি না। মাত্র তো আড়াই মাস হলো, তাই ঠিকঠাক বলাও কঠিন। তবে আমার অনুরোধ, আমাদের যেন কখনো যে লাউ সেই কদু মনে না হয়।

 

আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *