অনেকেই মুখের কালো দাগ নিয়ে চিন্তায় থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইপারপিগমেন্টেশন বা কালো ব্রণের দাগ, অত্যধিক সূর্যের এক্সপোজার বা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। আরো বেশ কিছু কারণেও মুখের ত্বকে দাগ ছোপ দেখা দেয়।
সবাই চায় নরম কোমল ত্বক যা হবে ফ্রেশ আর উজ্জ্বল ঝলমলে। ত্বকের কালো দাগ আপনার অতি সুন্দর চেহারায় মলিনতা এনে দেবে একই সঙ্গে আপনার চেহারার সুন্দর অংশটুকুও ঢেকে ফেলবে। তাই আসুন মুখের ত্বকের কালো দাগ কীভাবে সহজে দূর করা যায় তা জেনে নিই।
মুখের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে করণীয়-
১. কমলার খোসা বেটে মুখে লাগালে আপনার ব্রণের আরাম হবে, আবার ত্বকও ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল হবে।
২.নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখুন। গোসলের আগে পরিষ্কার ত্বকে আলুর রস, মধু ও লেবুর রসের তৈরি ফেসপ্যাক ম্যাসাজ করে পাঁচ মিনিট শুকাতে দিন। পরিষ্কার, স্বাভাবিক পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
৩. ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমাতে পানি ও ভিনেগারের মিশ্রণ গরম করে আবার ঠান্ডা করুন আর এই মিশ্রণ দিয়ে মুখে ৫ মিনিট রাখবেন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. যাদের চোখের চারপাশে ডার্ক সার্কেল আছে তার ঘুমানোর আগে শসা বা আলু কুড়িয়ে চোখের চারপাশে কিছুক্ষণ রাখুন। বা আপনি ঠান্ডা টি ব্যাগ ১০-১৫ মিনিট চোখের পাতার উপর দিয়ে রাখুন। চোখের চারপাশের কালো দাগ কমে যাবে।
৫. মুখের কালো দাগ, বয়সের ছাপ, বিসন্নতা, এসব দূর করতে চন্দনের প্যাক খুব কার্যকর। চন্দন গুড়ার সাথে হলুদ আর দুধ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান নিয়মিত। ত্বক উজ্জ্বল আর সতেজ করতে এর জুড়ি নেই।
৬.মুখের দাগ দ্রুত দূর করতে মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। সন্ধ্যার পর অবসরে এ প্যাক ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট শুকাতে দিন। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৭.রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অলিভ ওয়েল অথবা বাদাম তেল ত্বকে ম্যাসাজ করুন তিন মিনিটের মতো। এরপর টানা ৮ ঘণ্টার একটি লম্বা ঘুম দিন। ব্যাস, এ চার নিয়ম মেনে চললেই দুই সপ্তাহ পর খেয়াল করবেন আপনার ত্বক আগের চেয়ে যেমন উজ্জ্বল হয়েছে, তেমনি কমতে শুরু করেছে ত্বকে থাকা কালো দাগও।
৮. আপনি যদি পার্লারে ফেয়ার পলিশ বা ব্লিচ করেন তবে সতর্ক থাকুন যে, ফেয়ার পলিশ অথবা ব্লিচ করানোর পরপরই রোদে যাবেন না। এতে আপনার ত্বক কালচে হয়ে যাবে।
Leave a Reply