বিশ্বের সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে। তাও বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়কে। যে সেতুতে উঠতে দেয়া আছে আবার সিড়ি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দক্ষিণ পাশে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক। অন্যদিকে সেতুর উত্তর পাশে রামনগর সড়ক। এ সড়কটি রামনগর হয়ে নলছিটি উপজেলার মোল্লার হাটের দিকে মিলিত হয়েছে। রামনগর, কাফিলা, মোল্লার হাট, তালতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ এ সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে মহেশপুর বাজার হয়ে যাতায়াত করতে হয় এসব এলাকার লোকজনের।
সেতুর ছবি তোলার দৃশ্য দেখে এগিয়ে আসেন ষাটোর্ধ অবসারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মজিবুর গাজী। তিনি বলেন, সেতু নির্মাণ করতে দেখে মনে মনে ভাবতাম আমাদের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু সেতু নির্মাণ হলেও দুর্ভোগ কমেনি। সেতুতে উঠতে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়। ছোট বড় কোনো যানবাহন পাড় হতে পারছেন না। তিনি প্রশ্ন করেন, এ ধরনের সেতু করে লাভ কি? একই অভিযোগ এলাকার বেশির ভাগ মানুষের।
এদিকে, এক মাস আগে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু। সংযোগ সড়ক করতে না পারায় সেতুর এক অংশে সাত ধাপের একটি সিঁড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে জনসাধারণ চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছেন না। স্থানীয়রা বলছেন, এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় সেতুটি এলাকার জনসাধারনের কোনো কাজে আসেনি। সিঁড়ির উচ্চতা ১০ ফুট হওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে পারেন না।
এ রকমের একটি সেতু নির্মাণ করছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়কের নিয়মিত ইউনিয়নের রামনগর এলাকার ভাড়ানি খালের ওপর। ২০২০-২১ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) বাকেরগঞ্জ অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর নির্মাণ করেন এমএস রূপালী নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত একমাস আগে জনসাধারনের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply