চিকিৎসকরা দিনে অন্তত ছয় ঘন্টা ঘুমোনোর কথা বলে থাকেন। কিন্তু নানাবিধ কাজের চাপে শেষ পর্যন্ত অনেকেই ততক্ষণ ঘুমোতে পারেন না। এর ফলে শরীরের নানা সমস্যাও একে একে দেখা দেয়। ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। ইনসোমনিয়া নামক রোগে ঘুম আসতে দেরি হয় বা তাড়াতাড়ি ভেঙে যায় বা ঘুম থেকে ওঠার পর সতেজ ভাব অনুভূত হয় না।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে যে সমস্যাগুলো হয়—
স্ট্রেস বেড়ে যায়।
সারাদিন শরীর দু্র্বল ও ক্লান্ত লাগে।
কাজে মনোযোগ করতে অসুবিধা হয়।
ক্রনিক রোগের হার বেড়ে যায়।
রক্তচাপ, সুগার ও হার্টের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মেজাজ খারাপ থাকে। এমনকি মনখারাপও বাড়ে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।
ওজন বাড়তে থাকে।
মস্তিষ্কের মধ্য়ে স্নায়ুকোশগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে।
পর্যাপ্ত ঘুমের উপায়—
রোজ ঘুমোতে যাওয়ার ২-৩ ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমের মধ্যে এই দুই-তিন ঘন্টার তফাত রাখতে হবে।
ঘুমোনোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়ার অভ্যাস করা জরুরি। অনেকেই বলেন বই পড়তে ইচ্ছে করে না। কিন্তু ঘুমের জন্যই এটি বেশি দরকার।
শোবার ঘর পর্যাপ্ত অন্ধকার রাখতে হবে। ঘর যেন ঠান্ডা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া জরুরি। ঘুমের সময়ের পরিবর্তন যত কম হয় তত ভালো।
কোন কোন খাবার ঘুমের জন্য উপযোগী—
গরম দুধ: গরম দুধ দীর্ঘদিন ধরেই নিদ্রাল্পতার সুরাহা হিসেবে কাজ করে। দুধের মধ্যে ট্রিপটোফ্যান,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও মেলাটোনিন বেশি থাকে। যা সহজে ঘুম এনে দেয়।
আমন্ড: আমন্ডের মধ্যে মেলোটোনিন হরমোনের পরিমাণ বেশি। এই হরমোনটি আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠা নিয়ন্ত্রণ করে।
কাঠবাদাম: কাঠবাদামের মধ্যে মেলাটোনিন, সেরোটোনিন, ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলি দ্রুত ঘুম এনে দেয়।
তৈলাক্ত মাছ: তেল বেশি রয়েছে এমন মাছ খেতে পারেন। এই ধরনের মাছ ঘুমের জন্য বেশ উপকারী।
Leave a Reply