১০ উপকার পেতে দিনে কয়টি খেজুর খেতে হবে?

ভরপুর এনার্জি আর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই। তাই অনেকেই নিয়মিত ডায়েটে খেজুর রাখেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না, প্রতিদিন কয়টি খেজুর খাওয়া নিরাপদ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী খেজুর। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ ও বি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।

খেজুর খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনই চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও বিস্ময়কর এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন জেনে নিই খেজুরের কিছু উপকারিতার কথা-

১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে বদহজমের সমস্যাও দূর হয় খেজুরে।

২। মস্তিষ্ক সচল রাখে: খেজুরের সব চেয়ে বড় গুণ হলো এই ফলটি মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফলটি।

৩। ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানোর জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে খেতে পারেন খেজুর।

৪। গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী: খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য দারুণ উপকারী। খেজুরে থাকা আয়রন নারীদের রক্ত স্বল্পতা দূর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য।

৫। হিমোগ্লোবিন বাড়ায়: খেজুরে ভালো পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। শরীরে রক্ত​সরবরাহ করে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে চাইরে রোজ খেজুর রাখুন ডায়েটে।

৬। ত্বককে টানটান করে: বয়স বাড়ার ফলে মুখের চামড়া কুঁচকে যাচ্ছে? ত্বকে তৈরি হচ্ছে কালো দাগ? তাহলে এর সমস্যা সমাধান ভরসা রাখতে পারেন খেজুরে। এতে ভিটামিন বি রয়েছে, যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী।

৭। হার্টের সমস্যা দূর করে: যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম। যেকোনো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও খেজুর বেশ কার্যকরী।

৮। খুসখুসে কাশি দূর করে: যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা খেজুর এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুরসহ পানিটুকু খেতে নিন। উপকার পাবেন।

৯। চুলের গোড়া মজবুত করে: চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে নিষ্প্রাণ হলে চুলের সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে খেজুরকে কাজে লাগাতে পারেন।

১০। ক্যানসার প্রতিরোধ করে: ক্যানসারের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে খেজুর। মুখগহ্বরের ক্ষত রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী।

এসব উপকারি গুণ ছাড়াও খেজুরের আরও নানা কার্যকারিতা রয়েছে। তবে সব উপকারি গুণ পেতে হলে সঠিক পরিমাণে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ২টি খেজুর খাওয়ার কথা। আর ওজন বাড়াতে সর্বোচ্চ ৪টি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। তবে প্রতিদিন ৪টি খেজুরের বেশি খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *