ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য অনেক বড় সুখবর!

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগের ফলে কিছুটা হলেও গ্রাহকের হাতে থাকা নগদ টাকা ব্যাংকিং খাতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনো দুর্বল অবস্থায় থাকা বেশ কিছু ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের অর্থ উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে, এস আলম গ্রুপের ব্যাংকিং খাতে তৈরি হওয়া তারল্য সংকট পুরো খাতকেই প্রভাবিত করছে। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী আমানতের অর্থ ফেরত দিতে না পারার সমস্যায় ভুগছে প্রায় এক ডজন ব্যাংক।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই উদ্যোগগুলোর কারণে কিছু ব্যাংকে গ্রাহকের মধ্যে অনাস্থা বাড়ে, যার ফলে আমানত উত্তোলনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ৭টি ব্যাংককে গ্যারান্টি চুক্তির আওতায় প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়ে তারল্য সংকট কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকদের আমানতের শতভাগ সুরক্ষা দিতে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ব্যাংকিং খাতের ওপর পুনরায় আস্থা ফিরে আসে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গ্রাহকদের আমানত সুরক্ষা দিতেই সমস্যা থাকা বোর্ডগুলোকে পুর্নগঠন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে এই ব্যাংকগুলোকে এখন পয়র্ন্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গ্রাহকের টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে, যা ইতিবাচক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, সবগুলো ব্যাংকের ওপর গ্রাহক আস্থা হারায়নি। গুটি কয়েক ব্যাংকের প্রতি আস্থা নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকের ওপর আস্থা বলেই গ্রাহকরা দুর্বল ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সবল ব্যাংকে রাখছেন।

ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স স্কিমের আওতায় এখন ৯৫ ভাগ গ্রাহকের আমানত সুরক্ষাত থাকলেও, শতভাগ সুরক্ষা দিতে এই স্কিমে পরির্বতনের কাজ চলছে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান বিশ্লেষকদেরও।

বিআইবিএমের সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেছন, গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণসহ খেলাপি ঋণ আদায়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *