সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে পালালেন মাদ্রাসা সুপার!

পঞ্চগড়ে নিয়োগের তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের মাদ্রাসায় বসিয়ে রেখে পালিয়ে গেছেন মাদ্রাসা সুপার । এ সময় মাদ্রাসায় চারজন সাংবাদিক দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফিরে আসেনি মাদ্রাসা সুপার। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও মাদ্রাসা সুপার সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়ার ভয়ে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়নি। তবে কেন পালিয়ে গেছেন মুঠোফোনে এমন প্রশ্নে উত্তরে তিনি বললেন আমি একটা কাজে এসেছি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার হোসনেবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে পালিয়ে যায় ওই মাদ্রাসার সুপার রৌশনআরা ।

এদিকে মাদ্রাসা থেকে সুপার পালানোর পর সাংবাদিকরা তথ্য অধিকার আইনে ক ফরম অন্যান্য শিক্ষকদের ফরমটি গ্রহণের কথা বললেও কেউ ফরম গ্রহণ করেননি। এ সময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ করেন।

দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর সাংবাদিকরা মাদ্রাসার সভাপতি বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজিরের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে ইউএনও’র নির্দেশ মাদ্রাসাটির সুপার রৌশনআরা সহ চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী নিয়োগ এবং অনিয়ম বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে ক ফরম বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান চলতি বছরের গত ১০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসাটির সুপার এবং তিনজন চতূর্থ শ্রেনীর কর্মচারীকে গোপনে নিয়োগের বিষয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকাবাসী সহ খোদ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। অভিযোগে বলা হয় মাদ্রাসাটির সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দিন কে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেন সুপার রৌশনআরা। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে বিধি বহির্ভুত ভাবে মার্চ মাসে তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন সুপার । এজন্য মাদ্রাসার সুপার রৌশনআরা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের যাবতীয় কার্যক্রম বাতিলের আবেদন করা হয় অভিযোগে। এদিকে অভিযোগ পেয়ে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আইবুল ইসলামেকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।

মাদ্রাসার সুপার রৌশনআরার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আসলে আমি আপনাদের মাদ্রাসার বাইরের একটি বাজারে চা খাওয়ার জন্য ডাকলাম কিন্তু আপনারা আসলেন না।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির জানান নিয়োগের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য ফরম টি ইউএও কে গ্রহণ করার কথা বলা হলে তিনি জানান আসলে আমার কাছে তথ্য নেই মাদ্রাসা সুপার তথ্য দেবেন আমি কথা বলেছি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তথ্য অধিকার আইনের ক ফরমটি দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *