কিভাবে দুর্ঘটনার শিকার পরীমণির ছেলে, বলছে না কেউ!

বুধবার রাতেই আহত অবস্থায় ছেলে পূণ্যের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। যেখানে দেখা গেছে, নায়িকার সন্তানের চোখ ফুলে বন্ধ হয়ে গেছে, চোখের ওপরটা লাল হয়ে আছে।

পূণ্যের এমন ছবি প্রকাশ করে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘দুর্ঘটনা’। এর বেশি বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি। এরপরই ভক্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, কি হয়েছে পরীর ছেলের?

শনিবার সকালেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নায়িকা জানালেন, তার বাসায় না থাকার অনুপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে বাড়িতে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা কেউ স্বীকার করছেন না, কীভাবে ব্যথা পেয়েছে পূণ্য।

পরীমণি লিখেছেন, আপনার অনেকেই হয়তো জানেন যে, গত ২৯ তারিখ আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রঙ্গিলা কিতাব’-এর ট্রেলার লঞ্চিংয়ের আয়োজন ছিলো। সেখানে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে যাইনি বা নিতে চাইনি। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো, আমি আসলেই চাইনি আমার বাচ্চা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রাউড ফেইস করুক। দ্বিতীয়ত, আমি আমার ছেলের জন্য দ্বায়িত্বরত তিনজন মানুষের একটা সুন্দর/প্রপারলি দ্বায়িত্ববোধ দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ফেইলড! আমার ছেলে টা ইনজুরড।

ছেলে কীভাবে ব্যাথা পেয়েছে সেটা এখনও জানতে পারেননি উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, স্বাভাবিকভাবেই আমি সবার কাছে জানতে চেয়েছি- ইঞ্জুরড কিভাবে হয়েছে? কেউই সত্যি/ঠিকভাবে কোনো উত্তর দেয়নি! তাদের একটাই উত্তর, ‘আমি/আমরা কিছু জানিনা। কই কি হইছে দেখি তো!’

‘আমি একটা পর্যায়ে আমার কন্ট্রোল হারাই। রাগে আমার পুরো পৃথিবী আগুন লাগাতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিচ্ছু লাভ হয়নি তাতে! তারা সবাই তাদের ওই এক উত্তরেই আটকে ছিল। আমারও আর বারবার জেরা করা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলে শুধু আমাকেই দেখছিল। আমিও সব ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে যাই।’

এরপরের পরিস্থিতি উল্লেখ করে পরীমণি লেখেন, ঘুম থেকে উঠে দেখি ছেলের এক চোখ আর খোলে না! কি করব বুঝতে পারি না। এভারকেয়ার হসপিটাল থেকে বাংলাদেশ আই হসপিটাল, ছুটতে থাকি….এতো অসহায় লাগছিল আমার!

তবে বর্তমানে ছেলে সুস্থ আছেন উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যাই হোক, আল্লাহর রহমতে অনেক খারাপ হওয়ার হাত থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমি অবাক হই আমার ছেলে ঠিক আমার আর আমার নানা ভাইয়ের মতো। কি করে যেন সব সহ্য করে নেয়। এতো ধৈর্য্য আর সহনশীলতা এই ছোট্ট বয়সে..! আল্লাহ মহান! আমি সব সঠিকভাবে সামলে উঠতে পারছি না হয়তো। কিন্তু আমার শতভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দোয়া করবেন।’

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই পরী তার ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন। ছেলের যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব মায়ের ওপরই। পূণ্যকে নিয়েই পরী এদিক-সেদিক যান। এমনকী শ্যুটিংয়েও ছেলেকে নিয়ে যেতে ভোলেন না অভিনেত্রী।

স্বামীর সঙ্গে আলাদা হওয়ার পরই পরীর গোটা জীবনজুড়ে এখন শুধুই পূণ্য। তাই ছেলের কিছু হলে পরী খুব স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত হয়ে পড়েন। এবারও তাই ঘটলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *