বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত করে একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ১১তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিসিএসে প্রতিযোগিতা আরও কঠোর হবে, তবে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির গুণগত মান উন্নত করার একটি উদ্দেশ্যও রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নতুন প্রার্থীদের জন্য সুযোগ তৈরির পাশাপাশি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সংখ্যা সীমিত থাকবে, যা প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজ করতে সহায়ক হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থায় সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা-৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, এই বিধি সংযোজনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশনা প্রদান করেছে।
গত ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে একজন পরীক্ষার্থী তিনবারের বেশি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। এ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার।
Leave a Reply