জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান পোশাক শ্রমিকদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকার কচুক্ষেতে পোশাক শ্রমিকদের এই বিক্ষোভে যে সহিংসতা ঘটেছে, বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা, তা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং এটি কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া থাকলে কর্তৃপক্ষের উচিত তা বিবেচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এই ধরনের অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে কিংবা এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ও স্থিতিশীলতাকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত থাকে, তবে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
কচুক্ষেত এলাকায় শ্রমিকদের এ বিক্ষোভ ও সহিংসতা নিয়ে তিনি শ্রমিকদের অধিকার সমুন্নত রাখার কথা বলেন, তবে একইসাথে দায়িত্বশীল আচরণেরও আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ওই আগুনের খবর পাওয়ার কথা জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং একটি লেগুনাতে আগুনের খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট পাঠানো হয়। আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ফিরতি রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কচুক্ষেতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এসময় শ্রমিকরা ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সেনাবাহিনীর গাড়ি ও লেগুনা ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করলেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
Leave a Reply