মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। বাংলাদেশ সময় বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৩০ ইলেক্টোরাল ভোটে জিতে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থীর ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থীর কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২০৯টি। খবর এপির।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়েছে। তবে নানা কারণে এবার আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণায় কয়েক দিন সময় লাগাতে পারে বলে আভাস নিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা। ফলে চূড়ান্ত ফল পেতে লাগতে পারে কয়েক দিন।
২০২০ সালের নির্বাচনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জো বাইডেনকে জয়ী হওয়ার খবর প্রকাশ করে ভোটের দুই দিন পর ৭ নভেম্বর। ২০১৬ ও ২০১২ সালে অবশ্য ভোটারদের ফলাফল পেতে সময় লেগেছিল আরও বেশি। এবারে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ার গণনায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তার ওপরে প্রার্থীরা ভোট পুনঃগণনার দাবি করতে পারে এমন ধারণা মাথায় রেখে এবার আরও সতর্ক থাকছে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে ভোটের পদ্ধতির নির্দিষ্ট বিধি রয়েছে। ভোট গণনার পদ্ধতিও আলাদা । তিন পদ্ধতির মাধ্যমে নেয়া হয় ভোট। হ্যান্ডমার্ক করা কাগজের ব্যালট, ব্যালট মার্কিং ডিভাইস বা বিএমডি ও ডাইরেক্ট রেকর্ডিং ইলেকট্রনিক বা ডিআরইয়রে মাধ্যম ভোট নেয়া হয়। এর মধ্যে বহুল প্রচলিত কাগজের ব্যালট ব্যবহৃত প্রায় ৭০ শতাংশ । ২৫ শতাংশেরও বেশি ভোটার ব্যবহার করেন কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ভোটদান পদ্ধতি- বিএমডি।
দেশটিতে ভোট গণনার পদ্ধতিতেও রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। ভোটের দিন যে ভোট পড়ে তা প্রথমে গণনা করা হয়। এরপর আগাম ও ডাকযোগে আসা ভোট গণনা করা হয়। সবশেষে গণনায় করা হয় অভিবাসী ও সামরিক ভোট।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ডাকযোগে দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে গৃহীত ভোট গণনার প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগে। দুই দলের জন্য জয়-পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনের মতো রাজ্যগুলো। এ ছাড়াও কোনো অঙ্গরাজ্যে ভোট সমান হলে সেখানে ভোট পুনঃগণনার করতে আরও সময়ের প্রয়োজন।
Leave a Reply