সাকিব আল হাসান, যিনি বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাকিব এবং তাঁর স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপের মূল কারণ হিসেবে পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। এই আইনগত পরিস্থিতি সাকিবের ক্যারিয়ারকে নিয়ে এসেছে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে, যা তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
সাকিবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিনি ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। তবে চলমান এই আইনগত জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি দেশের হয়ে আর খেলা চালিয়ে যাবেন না বলে শোনা যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে এবং ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি অনুভব করবে।
এই সিদ্ধান্ত কেবল সাকিবের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারকেই নয়, বরং বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক প্রস্তুতি ও কৌশলকে প্রভাবিত করবে। তার অনুপস্থিতি দলের জন্য বিশাল ক্ষতি হিসেবে দেখা হতে পারে, বিশেষত আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টগুলোতে।
এর আগে সাকিব টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছেন। ওয়ানডে ফরম্যাটই ছিল তাঁর জন্য একমাত্র আন্তর্জাতিক খেলার প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু এখন মনে করা হচ্ছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অভিমান থেকেই তিনি ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি দূরে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।অনলাইনে লাইভ খেলা দেখুন
সাকিবের দেশে ফিরে আসাও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এর পেছনে রয়েছে আরও কিছু ঝুঁকি। সাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার শঙ্কা এবং দেশে ফিরে আসলে তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) সাকিবের খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে বিপিএলে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হলেও তিনি আদৌ অংশ নিতে পারবেন কি না, তা এখন স্পষ্ট নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক মুখপাত্র বলেছেন, “এটি নিশ্চিত যে সাকিব আল হাসানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে।” তবে এই সিদ্ধান্তের সঠিক সময়টি তিনি প্রকাশ করতে চাননি। অন্যদিকে, ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়ার পর সাকিবেরও দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা আর নেই বলে ধারণা করছেন অনেকে।
সাকিবের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং তাঁর ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
Leave a Reply