শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনে ও দিলশানদের অবদান অসাধারণ। তবে তাঁদের বিদায়ের পরই শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য এক কঠিন সময়। হুট করেই তারকাখচিত দলটি বিশ্বের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা হারিয়ে নিতান্তই সাধারণ এক দলে পরিণত হয়। সেই সময় অনেকে ধরে নিয়েছিল, শ্রীলঙ্কা হয়তো আর সেরার কাতারে ফিরতে পারবে না। কিন্তু কঠিন সময় শক্তিশালী ক্রিকেটারদের তৈরি করে – শ্রীলঙ্কাও সেই প্রমাণ দিয়ে চলেছে।
বিগত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে ধীরে ধীরে উঠে এসেছেন কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশানকা, কামিন্দু মেন্ডিসের মতো প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটাররা। ওয়ার্ল্ড ক্লাস দল না হলেও এই নতুন শ্রীলঙ্কা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং আত্মবিশ্বাসী। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডকে টেস্টে পরাজিত করে দলটি প্রমাণ করেছে, নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়রা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে আবারও মর্যাদার স্থানে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান ছাড়া সাঙ্গাকারা বা জয়বর্ধনের সমতুল্য ক্রিকেটার উঠে আসেননি। তারপরও মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে খেলে চলেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে তাঁদের বিকল্প খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে যদি মুশফিক ও রিয়াদ ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতেন, তবে এখন পর্যন্ত মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারে পারমানেন্ট ব্যাটার হিসেবে কয়েকজন তরুণকে গড়ে তোলা সম্ভব হতো।
শ্রীলঙ্কা যেখানে নতুন তারকাদের তৈরি করছে, সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেটও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অভিজ্ঞদের বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে।
Leave a Reply