চিত্রনায়িকা অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তিনি। অপু বিশ্বাস বলেন, আর পারি না এই মহিলাকে (সিমি ইসলাম কলি) নিয়ে। ওনার তো সবকিছু দিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার মামলা কীসের! আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব তো ফাজলামো।
অভিনেত্রী বলেন, এখানে হিরো আলম এলো কোথা থেকে! এটা সিমিই ভালো বলতে পারবেন। আমি তাকে ঠিকঠাকভাবে চিনিও না। আমি কী উত্তর দিতে পারি বলেন। সে টাকা কোথায় দিয়েছে কেন দিয়েছে আমি কিছুই জানি না। এখন এসব মনগড়া কথা বলছে কেন। অফিসিয়ালি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ন্ত্রণ করেন আমার অ্যাডমিন। হয়তো নাম আমার। মালিকানা আমার। কিন্তু আমি এসব নিয়ন্ত্রণ করি না। অন্য সংস্থা দিয়ে চালাই। যদি আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতো তাহলে আমি বলতে পারতাম।
অপু বলেন, আমি যতটুকু জানি তিনি (সিমি) বুদ্ধিমান। তার মাথায় এসব কে ঢোকাচ্ছে, কেন ঢোকাচ্ছে জানি না। তিনি যদি চলচ্চিত্রেই কাজ করতে চান তাহলে এসব নিয়ে কেন বিতর্ক সৃষ্টি করছেন। আর তিনি টাকা কোথায় দিয়েছেন না দিয়েছেন কী সব বানোয়াট কথা ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অপু কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে চান কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে তারপর জানাবো।
প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি গত ২৪ আগস্ট ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেছেন। এই মামলায় অপু বিশ্বাষ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপনাকে। প্রযোজক সিমির দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
সেই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও আপনাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই।
এই বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।
Leave a Reply