ভারতের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পেছনে যাদের দোষ দেখছেন উথাপ্পা!

ক্রিকেটের গতিপ্রকৃতিই একরকম বদলেই দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলো। সারা বছর জাতীয় দলের হয়ে খেললেও একটি নির্দিষ্ট সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলেন ক্রিকেটাররা। লম্বা সময় খেলার ফলে অনেকসময় সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির ঘরের ছেলে হয়ে যান ক্রিকেটাররা। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় এটি।

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে লম্বা সময় খেলেছেন বাংলাদেশের তারকা সাকিব আল হাসান। গত দুই মৌসুম ধরে দলটির হয়ে না খেললেও তার জন্মদিন এবং যেকোনো সাফল্য উদযাপন করে দলটি। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রেই সেটা দেখা যায়।

তবে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর এই প্রবণতা নিয়ে সম্প্রতি সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। দেশি এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সূক্ষ্ম পার্থক্য রাখতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। উথাপ্পা অবশ্য এই মন্তব্য করেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে।

সর্বশেষ সিরিজে নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। নিজেদের ঘরের মাঠে শেষ কবে এমন হার দেখেছে ভারতীয়রা, সেটা মনে করাও মুশকিল। তবে চেন্নাইয়ের ওপর উথাপ্পার এমন রাগের কারণ- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে চেন্নাই সুপার কিংস তাদের কিউই ক্রিকেটার রাচিন রবীন্দ্রকে নিজেদের একাডেমিতে অনুশীলন করতে দিয়েছিল।

ভারতের একাডেমিতে অনুশীলন রাচিনকে ঠিক কতোটা এগিয়ে দিয়েছে, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায় এই সিরিজে তার পারফরম্যান্স থেকেই। ৫১.২০ গড়ে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৬ রান করেছেন এই বাঁহাতি। করেছেন একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি। উথাপ্পা মনে করেন, রাচিনের এই পারফরম্যান্সই পুরো সিরিজে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে উথাপ্পা বলেন, ‘রাচিন রবীন্দ্র এখানে এসে সিএসকের একাডেমিতে অনুশীলন করেছে। সিএসকে দারুণ একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি, তারা সব সময়ই খুব ভালোভাবে নিজেদের খেলোয়াড়দের দেখভাল করে। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলোয়াড়ের আগে যেখানে আপনার দেশ, সেখানে একটা সীমারেখা থাকাই উচিত। বিশেষ করে সেই খেলোয়াড়টি যদি বিদেশি হয় এবং এখানে এসে আপনার দেশের বিপক্ষে খেলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করেই সিএসকে–কে ভালোবাসি। কিন্তু প্রশ্নটা যখন দেশের, একটা সীমা থাকা উচিত, যেটা আপনি অতিক্রম করবেন না। ওই প্রস্তুতির ওপর ভিত্তি করে রাচিন রবীন্দ্র দারুণ ব্যাটিং করেছে। (ভারতে) বিদেশি খেলোয়াড়দের খেলা অন্যতম সেরা ইনিংস খেলেছে। (বেঙ্গালুরুর) ওই ধরনের উইকেটে ১৫৭ বলে ১৩৪ রান, এটা ছিল নিখুঁত ব্যাটিং। এরপর সে দেখিয়েছে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *